পানি, হিটিং এবং বিদ্যুৎহীন শীতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কিয়েভ

কিয়েভে ব্ল্যাকআউট চলাকালে লোকজন একটি পার্কে হাঁটছে। ৬ নভেম্বর, ২০২২।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিচ্ছেন যে রাশিয়া যদি দেশের জ্বালানি অবকাঠামোতে আঘাত হানতে থাকে তবে তাদেরকে অবশ্যই এই শীতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এর মানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেলে হয়তো কোন বিদ্যুৎ,পানি বা তাপ থাকবে না।

গত মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে আঘাত করার ওপর মনোনিবেশ করেছে। এর ফলে সারা দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কিয়েভ শহর এবং এর আশপাশের অঞ্চলের কিছু অংশে রবিবার প্রতি ঘণ্টায় একেক এলাকায় দফায় দফায় ব্ল্যাকআউট হওয়ার কথা ছিল।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি অপারেটর ইউক্রেনারগো জানিয়েছে, কাছাকাছি চেরনিহিভ, চেরকাসি,জাইটোমির, সুমি, খারখিভ এবং পোলতাভা অঞ্চলেও রোলিং ব্ল্যাকআউটের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

কিয়েভ প্রায় ১ হাজার হিটিং পয়েন্ট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। তবে তারা উল্লেখ করেছে যে, এটি ৩০ লাখ মানুষের একটি শহরের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে।

এই অঞ্চলের ইউক্রেনের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো বলেছেন, হামলার ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই কেন্দ্রগুলো বাখমুত শহর এবং নিকটবর্তী শহর সোলেদারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। বোমাবর্ষণে ১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছে বলে শনিবার গভীর রাতে তিনি জানিয়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম অনুসারে, বাখমুতের ডনেটস্ক শহরে অবশিষ্ট ১৫ হাজার বাসিন্দা প্রতিদিনকার গোলাগুলির মধ্যে এবং পানি ও বিদ্যুৎ ছাড়াই বসবাস করছে।

তবে একটি সুসংবাদ হলো, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডের সাথে পুনরায় সংযোগ করা হয়েছে। রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যম একথা জানায়। ইউরোপের বৃহত্তম এই পারমাণবিক কেন্দ্রের অত্যাবশ্যক শীতলকারী ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু রাশিয়ার গোলাগুলির ফলে বাইরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে এটি জরুরি ডিজেল জেনারেটরে চলছিল।