ইরানের কুদস বাহিনী ও হিজবুল্লাহ সমর্থনকারী তেল চোরাচালান চক্রের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ

দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের আবাদন তেল শোধনাগারের দৃশ্য। ইরাকের বসরার দক্ষিণে আল-ফাউয়ের শাত আল-আরবের দিক থেকে তোলা ছবি; সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২।

তেহরানের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে বৃহস্পতিবার একটি আন্তর্জাতিক তেল চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই চক্রের মধ্যে রয়েছে ডজনখানেক মানুষ, বেশ কিছু কোম্পানি এবং তেলবাহী জাহাজ। ওয়াশিংটন বলছে বলছে, এই চক্রটি হিজবুল্লাহ এবং ইরানের কুদস বাহিনীকে সমর্থন করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে যে, এমন একটি নেটওয়ার্কের সদস্যদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যারা লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ এবং কুদস বাহিনীর তেল ব্যবসা ও আর্থিক যোগানের জন্য কাজ করে। কুদস বাহিনী হলো ইরানের বিপ্লবী গার্ডের একটি শাখা, যা বিদেশে পরিচালিত হয়। হিজবুল্লাহ এবং কুদস বাহিনী,উভয় গোষ্ঠিই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।

ইরানি তেল চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্ব সাম্প্রতিক পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে আসলো, যখন ইরানের সাথে আবার শুরু করতে যাওয়া ২০১৫ সালের পরমানু চুক্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে এবং ইরানের জনগণের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্কক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে রয়টার্সের অনুরোধে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশন সাড়া দেয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি দপ্তর বলছে, ভিক্টর আর্তেমভ, এডম্যান নাফরিহ, রুজবেহ জাহেদি এবং মোহামেদ এল জেইন এবং আভা পেট্রোলিয়ামের মতো তাদের নিয়ন্ত্রণাধীনে আরও কোম্পানি এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের বিরুদ্ধেই ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, কোম্পানিগুলো সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, ইরান এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ থেকে পরিচালিত হয়।.

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই নেটওয়ার্ক হিজবুল্লাহ ও কুদস বাহিনীর জন্য শত শত মিলিয়ন ডলার মূল্যের তেল বিক্রির সুযোগ করে দিয়েছে।