ইথিওপিয়ান–টিগ্রায়ান যুদ্ধবিরতিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ’ বলে অভিহিত করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

ইথিওপিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা শহরের প্রশাসনিক কার্যালয়ের বাইরে টিগ্রায় সংঘর্ষের প্রথম দিনে নিহত সেনাদের স্মরণে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে প্যারেড করার সময় জাতীয় পতাকা বহন করছে। ৩ নভেম্বর, ২০২২।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শুক্রবার বলেছে, এ সপ্তাহের শুরুতে ইথিওপিয়া ও টিগ্রায়ান কর্তৃপক্ষের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি “আরও নৃশংসতা ও মানবিক বিপর্যয় এড়াতে ত্বরিত এবং কঠোর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ প্রদান করেছে”।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় নাইজেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবাসাঞ্জোর নেতৃত্বে আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় ১০ দিনের আলোচনার পর বুধবার সহিংসতা বন্ধের চুক্তিটি সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলে টিগ্রায়ান বাহিনী এবং ফেডারেল সরকার ও প্রতিবেশী ইরিত্রিয়াসহ এর আঞ্চলিক মিত্রদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২ বছর পূর্ণ হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আফ্রিকার উপ পরিচালক ক্যারিন কানেজা নান্টুল্যা বলেছেন, “যুদ্ধরত পক্ষগুলোর ব্যাপক নির্যাতন যাতে বেসামরিক জনগণের ক্ষতিকে দীর্ঘায়িত করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক তদন্ত হবে”।

চুক্তিতে টিগ্রায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে আবারও একত্রীকরণ এবং ওই অঞ্চল থেকে জাতীয় সেনাবাহিনীকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিনিময়ে তাদেরকে অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উভয় পক্ষের অবিশ্বাসের কারণে চুক্তির এই অংশটি পূরণ করা কঠিন হতে পারে।

হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়া এ যুদ্ধের অবসানের উপায় খুঁজে বের করতে যুদ্ধরত পক্ষগুলো আলোচনার টেবিলে আসতে ব্যর্থ হওয়ার পরে এই চুক্তি সম্পন্ন হওয়াকে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, চুক্তির মূল সমর্থকদের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত, শক্তিশালী পর্যবেক্ষণের জন্য চাপ দেওয়া উচিত এবং নিশ্চিত করা উচিত যেন ইথিওপিয়ান সরকার এবং টিগ্রায়ান কর্তৃপক্ষ তাদের অঙ্গিকারের প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণভাবে পালন করে।