সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার বিমান সমাবেশের পর দক্ষিণ কোরিয়ার জঙ্গিবিমান মোতায়েন

ফাইল ছবি-ভিডিও থেকে নেওয়া এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবাহিনীর এফ ১৫কে ফাইটার জেট ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর একটি অজ্ঞাত স্থান থেকে উড্ডয়ন করছে।

কোরীয় উপদ্বীপে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের জঙ্গি বিমানগুলো আকাশে টহল দেওয়ার সময় সীমান্তের কাছে উত্তর কোরিয়ার ১৮০টি সামরিক ফ্লাইট শনাক্ত করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১১টা থেকে শুরু করে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে উত্তর কোরিয়ার একাধিক অভ্যন্তরীণ এলাকা ও কোরিয়ার উভয় উপকূলে উড়তে থাকা এই উড়োজাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলছে, তারা জরুরিভিত্তিতে এফ ৩৫এ স্টিলথ ফাইটারসহ ৮০টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ২৪০টি বিমান বড় আকারের বিমান মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।

এর আগে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া ঘোষণা করে, তথাকথিত ঝড়ো বিমান মহড়াটি উত্তর কোরিয়ার উস্কানির প্রতিক্রিয়ায় প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনার চেয়ে এক দিন বেশি, অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত চলবে।

বুধবার থেকে উত্তর কোরিয়া ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।যার মধ্যে কয়েকটি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে বিমান হামলার সতর্কতা এবং জরুরি আশ্রয়ের আদেশ দেওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি করে।

যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়ায় উত্তর কোরিয়া ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এই মহড়া সাম্প্রতিক উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র পরীক্ষা এবং অন্য হুমকির প্রতিক্রিয়ায় করা হয়েছে।

একাধিক কূটনীতিক ভিওএকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের অনুরোধে উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণ নিয়ে আলোচনা করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার বৈঠকে বসবে।

ওয়াশিংটনে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রধানরা বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধির কথা বলেছেন।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জোরদার করায় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কৌশলগত পারমাণবিক হামলা চালানোর ক্ষমতা সম্পর্কে সতর্ক করার কারণেই দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে এই অঞ্চলে আরও পারমাণবিক অস্ত্র ও জাহাজ পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওয়াশিংটন ও সিউলকে 'নিয়ন্ত্রণহীন পর্যায়ে' উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য দায়ী করেছেন।

ভয়েস অফ আমেরিকার জাতিসংঘের সংবাদদাতা মার্গারেট বেসির এই প্রতিবেদনের জন্য ভূমিকা রেখেছেন।