পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইসলামাবাদ অভিমুখী তাঁর চলমান সরকার বিরোধী মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় আপাতদৃষ্টে বৃহস্পতিবার একটি হত্যা প্রচেষ্টায় আহত হন।
বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের ৭০ বছর বয়সী এই নেতার ডান পায়ে অন্তত একটি বুলেটের আঘাত লেগেছে। তাঁর উর্ধতন সহকারী রউফ হাসান ভয়েস অফ আমেরিকাকে এ সংবাদ নিশ্চিত করেন।
মধ্য পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদ শহরে বন্দুক হামলায় অন্তত একজন নিহত এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন।
ইমরান খানকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁর সহকারী জানান, সেখানকার চিকিৎসকেরা বলেছেন তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ গুলি চালানোর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবিলম্বে ঘটনার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইমরান খান হাসপাতালের বিছানা থেকে ঞ্জারি করা এক বিবৃতিতে সরকার ও সামরিক বাহিনীকে এই হামলার পরিকল্পনা করার জন্য অভিযুক্ত করেন। কর্মকর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইমরান খানকে গুলি করার “কঠোর নিন্দা” জানায়।
জাতিসংঘ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং হামলার একটি “পূর্ণ ও স্বচ্ছ তদন্তের” গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানজুড়ে তাঁর সরকার বিরোধী সমাবেশে হাজার হাজার মানুষকে জড়ো করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার ফলে পিটিআইকে সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ (ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি) এবং পাঞ্জাব আইনসভার সাম্প্রতিক উপ-নির্বাচনে জয়লাভে সহায়তা করেছে। এর মাধ্যমে ইমরান খান শরীফ সরকারের ওপর দ্রুত সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার জন্য চাপ বাড়াতে পারেন।