ইরান বলছে, পুলিশের পাশবিক অত্যাচারের  ভিডিও তদন্ত করা হবে

ভিওএ ফার্সি বিভাগকে পাঠানো একটি ভিডিও থেকে নেয়া  স্থির চিত্রে  ইরানের জাহেদান শহরের বাসিন্দারা ৩০ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশ গুলি চালানোর পরে রক্তমাখা এক ব্যক্তিকে বহন করছে। 

ইরানি বিক্ষোভকারীদের উপর সরকারী বাহিনীর সহিংসতার ভিডিও ও ছবি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ইরান।

এর মধ্যকার একটি ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে বেশ কয়েকজন সরকারি এজেন্ট মারাত্মকভাবে মারধর করতে দেখা যায়। এরপর একজন এজেন্ট মোটরসাইকেল নিয়ে ঐ লোকটির উপর তুলে দেয় এবং অন্য আরেক জন এজেন্ট তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। ইরানে চলমান বিক্ষোভ থেকে প্রকাশিত অন্যান্য আরও ভিডিওর মতো এই ছবিগুলির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি মঙ্গলবার দিন শেষে প্রকাশিত হয় এবং তা তেহরান থেকে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল টুইটারের মাধ্যমে বলেছে "ইরানের নিরাপত্তা

বাহিনীর নিষ্ঠুরতার যে কোনো সীমা নেই তা তেহরান থেকে আজ পাঠানো এই মর্মান্তিক ভিডিওটি আরেকটি ভয়াবহ ঘটনাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। বিচারহীনতার সংকটের মাঝেই তারা বিক্ষোভকারীদের নির্মমভাবে মারধর ও গুলি করার জন্য লাগাম মুক্ত করে দিয়েছে।”

এতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের উচিত অবিলম্বে এর তদন্ত করা।

ইরানের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে ঐ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ-এর প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে “পুলিশ সহিংস এবং অপ্রচলিত আচরণকে অবশ্যই অনুমোদন করে না এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে"।

সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে অনুপযুক্ত কাপড় পরার (হিজাব পরার) কারণে নৈতিকতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং পুলিশের হেফাজতে তাকে হত্যা করার প্রতিবাদে এই অস্থিরতা শুরু হয় যা সাত সপ্তাহ ধরে অব্যাহত রয়েছে।

এই রিপোর্টের কিছু তথ্য এএফপি থেকে নেয়া।