ইকুয়েডরে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত; জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট

দেশের কারাগারে ভিড় কমানোর সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বন্দি স্থানান্তরের সময় ইকুয়েডরের গুয়াকিলে বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। ১ নভেম্বর, ২০২২।

জনাকীর্ণ এবং বৈরি কারাগার থেকে বন্দিদের স্থানান্তরের প্রতিক্রিয়ায় হামলায় মঙ্গলবার অন্তত ৫ জন ইকুয়েডরীয় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো দুটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

রাজনৈতিকভাবে ল্যাসো একজন রক্ষণশীল। তিনি কারাগারের অভ্যন্তরে সহিংসতার জন্য মাদক চক্রের প্রতিশোধ স্পৃহাকে দায়ী করেছেন। তার সরকারের মাদক বাণিজ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টার কারণে মাদক চক্রগুলো প্রতিশোধ নিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ইকুয়েডর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে মাদক সরবরাহের একটি ট্রানজিট কেন্দ্র।

এক ভিডিও বার্তায় ল্যাসো বলেন, দুটি শহরে ৯টি বিস্ফোরণসহ সারারাত ধরে চলা এবং মঙ্গলবার ভোরে হওয়া আক্রমণগুলো ছিল গ্যাংগুলোর প্রকাশ্য যুদ্ধ ঘোষণা।

তিনি গুয়াস এবং এসমেরালদাস প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান জোরদার করবে এবং স্থানীয় সময় রাত ৯টায় কারফিউ কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গুয়াকিলের বেশ কয়েকটি এলাকায় ৬টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শহরতলিতে একটি টহল গাড়িতে হামলায় ২ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

এসমেরাল্ডাসে ৩টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বন্দি স্থানান্তরের প্রতিবাদে কারাগারের ৭ জন কর্মকর্তাকে বন্দিরা জিম্মি করেছে।

জেল এজেন্সি এসএনএআই জানিয়েছে, আলোচনার পর কর্মকর্তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।

ইকুয়েডরের কারাব্যবস্থা কয়েক দশক ধরে কাঠামোগত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তবে ২০২০ সালের শেষের দিকে জেলের সহিংসতা বেড়েছে, কমপক্ষে ৪ শ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এসএনএআই জানিয়েছে, ইকুয়েডরের সবচেয়ে সহিংস কারাগার গুয়াকিলের পেনিটেনসিয়ারিয়া থেকে এখন পর্যন্ত ৫১৫ জন বন্দিকে সারা দেশের অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এই স্থানান্তরের লক্ষ্য অতিরিক্ত ভিড় কমানো এবং কারাগারের জন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।