লেবাননে আর্থিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট আউন পদত্যাগ করেছেন

৩০ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে লেবাননের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মিশেল তার ছয় বছরের মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার একদিন আগে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ত্যাগ করার সময় লেবাননের বাবদায় তার সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন।

লেবাননের ৮৯ বছর বয়সী খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বী প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন রবিবার

পদত্যাগ করেছেন এবং রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ ছেড়ে গেছেন।

তার পদত্যাগে ইতোমধ্যে ব্যর্থতায় পর্যবসিত দেশটিতে শীর্ষ নেতৃত্বে শুন্যস্থানের সৃষ্টি হল।

উল্লেখ্য, তার শাসনামল লেবানন ভয়াবহ আর্থিক সংকট ও বৈরুতের বন্দরে

বিস্ফোরণের জন্য আলোচিত।

সংসদ এখন পর্যন্ত এই পদের উত্তরসূরির বিষয়ে একমত হতে পারেনি যিনি কিনা বিলগুলি আইনে স্বাক্ষর করার ক্ষমতা রাখেন। এছাড়াও তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার এবং ভোটের আগেই সরকার গঠনের ক্ষমতা রাখেন।

আউনের অর্ধেকেরও বেশি সময়, লেবানন বর্তমানে একটি তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে কারণ মনোনীত প্রধানমন্ত্রী ছয় মাস ধরে সরকার গঠনের জন্য চেষ্টা করছেন।

বিচারবিভাগীয় এক সূত্র জানিয়েছে, রবিবার আউন নাজিব মিকাতির সরকারের পদত্যাগের অনুমোদন দিয়েছেন।

গৃহযুদ্ধে আউনের অধীনে কাজ করার সময় সেনাবাহিনীর ৭৩ বছর বয়সী

একজন ব্যক্তি এবং ১৬ বছর বয়সী থেরেসা ইউনেস রয়টার্সকে বলেছেন, তার চলে যাওয়া প্রত্যাশিত নয় ।

আউন গভীর বিভেদ সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবেই বিবেচনা করা হলেও অনেক খ্রিস্টান তাকে লেবাননের সাম্প্রদায়িক ব্যবস্থায় তাদের রক্ষক হিসাবেই ভাবে। যদিও সমালোচকেরা তাকে দুর্নীতিতে মদদ এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে প্রভাব অর্জনে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করে।

প্রাসাদে তার শেষ সপ্তাহে, তিনি ইসরাইলের সাথে লেবাননের দক্ষিণ সামুদ্রিক

সীমান্ত নিয়ে মার্কিন-মধ্যস্থতায় একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।

ভক্তরা এই অর্জনের প্রশংসা করলেও তার সমালোচকরা বলছেন যে ২০১৯

সালের আর্থিক মন্দার তুলনায় এই সাফল্যগুলি খুবই সামান্য। মন্দায় জনসংখ্যার ৮০% এরও বেশিকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে ।

২০২০ সালে বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২২০ জনেরও বেশি লোক নিহত

হওয়ার ঘটনাও আউনের মেয়াদে হয়েছিল।

আউন পরে বলেছিলেন যে তিনি সেখানে সঞ্চিত রাসায়নিকগুলি সম্পর্কে

জানতেন এবং ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফাইলটি অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিলেন। নিহতদের পরিবার বলছে, তার আরও বেশি কিছু করা উচিত ছিল।

শনিবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকট

মোকাবেলায় তার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা যথেষ্ট বিস্তৃত নয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চলে যাওয়াটাও তার রাজনৈতিক জীবনের শেষ নয়।