লিঙ্গ বৈষম্য ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে নারীদের আরও সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে চীন রবিবার এক আইন পাস করেছে। এর কয়দিন আগে, তৃতীয়বারের মত সংশোধন ও বিপুল জনমত সংগ্রহের পর বিলটি দেশটির সর্বোচ্চ আইনসভায় উপস্থাপন করা হয়েছিল।
আইনটি এমন সময়ে হল, যখন কিনা সক্রিয়কর্মীরা নারীদের প্রথাগত ভূমিকার উপকারিতার বিষয়ে সরকারের ক্রমবর্ধমান বক্তব্যের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং যেটিকে কেউ কেউ নারীদের অধিকারের ক্ষেত্রে পশ্চাৎপদতা ও গর্ভপাতের ব্যাপারে আরও নিয়ন্ত্রণমূলক মনোভাব হিসেবে দেখেন।
এটি এখনও পরিষ্কার নয় যে এমন রক্ষণশীল মনোভাবগুলো আইনটিতে কতখানি প্রতিফলিত হবে। আইনটি প্রণয়ন হওয়ার খবর ছাড়া এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কোন তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
প্রায় ৩০ বছরে এই প্রথমবার নারীদের সুরক্ষা বিষয়ক আইন পরিবর্তন করা হল। “নারীর অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা আইন” শিরোনামের বিলটি, ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) স্থায়ী কমিটিতে বৃহস্পতিবার উপস্থাপন করা হয়। এনপিসি তাদের ওয়েবসাইটে জানায় যে আইনটি পাস করা হয়েছে।
আইনটিতে তারা কি চান তা জানিয়ে হাজার হাজার মানুষ পরামর্শ পাঠিয়েছিলেন বলে এনপিসি তাদের ওয়েবসাইটে জানায়।
সরকারি শিনহুয়া সংবাদ সংস্থাটি বৃহস্পতিবার বলে যে, আইনটি “দরিদ্র নারী, বয়োঃবৃদ্ধ নারী, ও বিকলাঙ্গ নারীদের মত সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীগুলোর অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা জোরদার করবে”।
শিনহুয়ার মতে, নারীদের শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক অধিকার ও স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হলে নিয়োগকর্তাদের জবাবদিহি করতে হবে। একইসাথে পাচার ও অপহরণ হওয়া নারীদের উদ্ধার বাধাগ্রস্ত করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
পাচার ও অপহরণ হওয়া নারীদের উদ্ধারের দায়িত্ব স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উপর ন্যস্ত করা হবে বলেও, শিনহুয়া জানায়।
এ বছর এর আগে অনলাইনে এমন ছবি পোস্ট করা হয় যাতে দেখা যায় এক নারীকে শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এতে মানবপাচার সামাল দেওয়ার ব্যাপারে বিক্ষোভ ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার বিষয়ে, যেখানে অনেক বছর ধরেই এমন ঘটনার কথা নথিবদ্ধ হয়ে আসছে।