ক্রেমলিন বলেছে যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার দূর থেকে তার কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনীর মহড়া পর্যবেক্ষণ করেছেন, "বিশাল আকারে পারমাণবিক হামলার" প্রতিক্রিয়ার অনুকরণ করার জন্য ওই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সামরিক নেতাদের মন্তব্যসহ একটি বিশাল টেলিভিশন স্ক্রিনে পুতিনের মহড়া পর্যবেক্ষণের ভিডিও দেখানো হয়েছে। সম্প্রচারে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, মহড়ার মধ্যে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন, দূরপাল্লার বিমান এবং ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একাধিক অনুশীলনী উৎক্ষেপণ রয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ বলেছিল যে, রাশিয়া ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা বার্ষিক মহড়া করতে যাচ্ছে - যাকে "গ্রম" বা "বজ্রপাত" বলা হয়। সোমবার নেটো তার নিজস্ব বার্ষিক পারমাণবিক মহড়া যা "স্টেডফাস্ট নুন" নামে পরিচিত শুরু করার সময় রাশিয়ার এই মহড়ার ঘোষণাটি আসে।
এই অনুশীলনগুলিও হচ্ছে এমন এক সময় যখন রাশিয়ার কর্মকর্তারা বেশ কয়েকদিন ধরে অভিযোগ করেছেন যে, ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে তার বিরোধে একটি তথাকথিত "ডার্টি বোমা" তৈরি এবং ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে।
ডার্টি বোমাগুলি তেজস্ক্রিয় পদার্থের সাথে মিলিত করে প্রচলিত বিস্ফোরক ব্যবহার করে এবং তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তা বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়, যাতে ব্যাপক মৃত্যু এবং ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানো যায়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রাশিয়ার অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করেছে।
ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা দৃঢ়ভাবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, এবং সন্দেহ করছে যে তারা ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রসারকে কোনো ভাবে বৃদ্ধির অজুহাত হিসাবে তা তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বুধবার দিন শেষে হোয়াইট হাউজে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সাথে দেখা করার কথা রয়েছে। হারজোগ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি ইউক্রেনে রুশ বাহিনী কর্তৃক ইরানী ড্রোন ব্যবহার করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাথে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি করার পরিকল্পনা করছেন।
হারজোগের অফিস বলছে, ইসরাইলের কাছে ইউক্রেনে গুলি করা ড্রোন এবং ২০২১ সালে ইরান পরীক্ষিত ড্রোনগুলির মধ্যে মিল আছে। ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা অংশীদাররা বলছে, রাশিয়া কিয়েভসহ ইউক্রেনীয় শহরগুলিতে আক্রমণ করার জন্য অতিসম্প্রতি যে ড্রোন ব্যবহার করেছে, সেগুলো ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন।
ইরান রাশিয়াকে তাদের ড্রোন সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং রাশিয়াও ওই ড্রোন ইউক্রেনে ব্যবহার করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।