দক্ষিণ আফ্রিকায় ইথিওপিয়া-টিগ্রায় শান্তি আলোচনা চলছে

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলের সংঘাত নিরসনে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। গ্র্যান্ডি উভয় পক্ষকে শান্তির পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেছেন, সেখানে ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চল নিয়ে প্রথম দফার শান্তি আলোচনার শুরু হয়েছে।

আরও কয়েকটি বিশদ বিবরণ প্রকাশ করা হলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার ঠিক কোন স্থানে ওই শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তা জানা যায়নি। এমনকি ঐ আলোচনা স্থানে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার রাখা হয়নি।

রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র ভিনসেন্ট ম্যাগওয়েনিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, পূর্বে বিলম্বিত ওই আলোচনা, "আজ ২৫শে অক্টোবর শুরু হয়েছে এবং আগামী ৩০শে অক্টোবর তা শেষ হবে।"

ইথিওপিয়ান সরকার পক্ষ এবং টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট, বা টিপিএলএফের নেতৃত্ব সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর, আলোচনার বিষয়টি জানা গেছে।

আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আফ্রিকান ইউনিয়নের হর্ন অফ আফ্রিকার দূত এবং নাইজেরিয়ার সাবেক নেতা ওলুসেগুন ওবাসাঞ্জো, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ফুমজিল ম্লাম্বো-এনগকুকা এবং কেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা।

আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও পর্যবেক্ষক হিসেবে বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।

ইথিওপিয়ান সরকার এই অঞ্চলের বিমানবন্দর এবং অন্যান্য অবকাঠামো নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে, গত সপ্তাহে টিগ্রায়ে লড়াই তীব্রতর করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে সোমবার বলা হয়েছে, তার বাহিনী "গত কয়েকদিনে প্রধান প্রধান শহর কেন্দ্রগুলির নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রেখেছে।"

২০২০ সালের নভেম্বরে টিগ্রায়ে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং লক্ষাধিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের দায়িত্ব নেওয়ার আগে টিপিএলএফ কয়েক দশক ধরে ইথিওপিয়ার রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।

প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সাথে ইথিওপিয়ার দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করার পর আবিকে প্রথমে শান্তিপ্রিয় নেতা হিসেবে দেখা হয়েছিল। সেই চিত্রটি অবশ্য টিগ্রায় যুদ্ধের কারণে ভেঙে পড়েছে এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো উভয় পক্ষকেই নৃশংসতার জন্য অভিযুক্ত করেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় শান্তি আলোচনা সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।