চাদে বৃহস্পতিবার শত শত মানুষ গণতান্ত্রিক শাসন দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠারদাবিতে রাস্তায় নেমে আসলে সহিংসতায় প্রায় ৫০ জন নিহত এবং প্রায় ৩’শ জন আহত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সালেহ কেবজাবো এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতের সংখ্যাউল্লেখ করে বলেন, এখনও হতাহতের সংখ্যা গোনা হচ্ছে। সরকার ঐ ঘটনাকে একটি সশস্ত্র অভ্যুত্থান হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে,নিরাপত্তা বাহিনী রাজধানী এনজামেনা ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভের ওপর নির্মমভাবে দমন-পীড়ন চালিয়ে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে।
২০২১ সালের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস ডেবির মৃত্যুর পর থেকে মধ্য আফ্রিকার এই সামরিক পরিচালিত বিশালদেশটিতে সংকট চলছে। প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস ডেবি তিন দশক ধরে কঠোর হাতে দেশ শাসন করছিলেন।
তার ছেলে মহামত ইদ্রিস ডেবি সঙ্গেসঙ্গে ক্ষমতা দখল করেন এবং প্রথমে প্রতিশ্রুতি দেন যে ১৮ মাসের অন্তর্বর্তী সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে কিন্তু ১ অক্টোবর তিনি তা দুই বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
বিরোধী দল ও সুশীল সমাজের দলগুলো প্রাথমিকভাবে সম্মত হওয়া ১৮ মাসের অন্তর্বর্তী সময়ের সমাপ্তির দিন বৃহস্পতিবার এই বিক্ষোভের ডাক দেয়। তবে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সরকার তাদের নিষিদ্ধ করেছে।
তবে বিক্ষোভকারীরা খুব ভোরে রাস্তায়ব্যারিকেড দেয় এবং নতুন প্রধানমন্ত্রীর দলীয় সদর দপ্তরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গত বছর ডেবি ক্ষমতা দখল করার পর থেকে চাদে প্রায়ই দাঙ্গা হয়েছে তবে বৃহস্পতিবারেরটি সবচেয়ে রক্তাক্ত বলে মনে হচ্ছে।
সরকার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি অবস্থা ও কারফিউ ঘোষণা করেছে তবে প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে ভয়াবহ বন্যার কারণে বুধবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।