রুশ আক্রমণে ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামোর কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইউক্রেন বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বুধবার এক ভাষণে জনগণকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অনুরোধ করেন।
ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক গ্রিড পরিচালনাকারী সংস্থাটি জানায়, সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সরবরাহের উপর বিধিনিষেধ বলবত্ থাকবে এবং শীতকাল এগিয়ে আসার সময়ে তাদের ভবিষ্যতেও হয়ত আবার এরকম পদক্ষেপ নিতে হতে পারে।
ড্রোন বিতর্ক
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার বিষয়ে আলোচনা করতে, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের অনুরোধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স বলছে ইরানের এই মানববিহীন আকাশযানগুলো রাশিয়াকে সরবরাহ করা নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের লঙ্ঘন। ঐ প্রস্তাবটি প্রতিটি ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতি সাপেক্ষেই, ইরানের কাছে বা ইরানের থেকে, এমন নিয়ন্ত্রিত সরঞ্জাম হস্তান্তর করতে দেয়। তবে এমন কোন অনুমতি চাওয়া হয়নি।
বৈঠকটি থেকে বের হওয়ার সময়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস ডি রিভিয়ের সংবাদদাতাদের বলেন, “আমাদের কাছে খুব স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে যে, ইরান থেকে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছে এবং সেগুলো ইউক্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে। এট ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের লঙ্ঘন।”
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের মিশনের মুখপাত্র, নেট এভান্স বলেন, “আমরা ধারণা করছি, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আরোপিত দায়বদ্ধতা পরিপালনে ব্যর্থতার জন্য ইরান ও রাশিয়াকে কিভাবে জবাবদিহি করানো যায়, সে বিষয়ে এটি জাতিসংঘে অনেকগুলো আলোচনার প্রথমটি মাত্র।”
জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত সংবাদদাতাদের বলেন যে, তার সরকার এই “ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবি” স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে। তিনি বলেন যে, এটি তার সরকারের বিরুদ্ধে অপতথ্য প্রচারাভিযানের একটি অংশ।
জাতিসংঘে রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন যে, অভিযোগগুলো “ভিত্তিহীন”, গৃহীত প্রস্তাব ভঙ্গ করে কোন অস্ত্র হস্তান্তর করা হয়নি এবং ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য কোন ইরানী ড্রোন রাশিয়াকে সরবরাহ করা হয়নি।