হাইতির সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রগুলো মোকাবেলা করতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সামরিক বিমান শনিবার হাইতির জাতীয় পুলিশকে (এইচএনপি) কৌশলগত ও সাঁজোয়া যান এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। ঐ অপরাধী চক্রগুলো হাইতির মানবিক সংকটের আরও অবনতি ঘটিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেন, হাইতির সরকারের কেনা ঐ সরঞ্জামগুলো সরবরাহের ক্ষেত্রে কোম্পানীটি বিলম্বের সম্মুখীন হলে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা তাতে হস্তক্ষেপ করে। ঐ মুখপাত্র আরও বলেন, হাইতির পুলিশকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহত রাখবে।
হাইতির এক প্রধান জ্বালানী টার্মিনাল ঐ অপরাধীরা অবরোধ করে রাখায়, হাইতির মানুষজন এক বিপর্যয়কারী খাদ্যাভাবের মধ্যে পড়েছে বলে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা শুক্রবার জানান। দেশটিতে ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষ চরম খাদ্য অনিরাপত্তার সম্মুখীন অবস্থায় রয়েছে।
জ্বালানী ভর্তুকি বন্ধ করার এক পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে, সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রগুলোর একটি জোট এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ডিজেল ও জ্বালানী তেলের বিতরণ আটকে রেখেছে। এর ফলে বেশিরভাগ পরিবহনই থমকে গিয়েছে এবং লুটপাট ও অপরাধী চক্রগুলোর গোলাগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছে। বৃহস্পতিবার রয়টার্সের দেখা এক খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী এমন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে, হাইতির শান্তি, নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে, এমন যে কারো সম্পদ জব্দ করা, তাদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস প্রস্তাব করেছেন যে, সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রগুলোর সৃষ্ট হুমকি অপসারণে হাইতির পুলিশকে সহায়তা করতে, এক বা একাধিক দেশ যেন “একটি র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স” পাঠায়। রয়টার্সের নজরে আসা নিরাপত্তা পরিষদকে পাঠানো একটি চিঠি অনুযায়ী এমন তথ্য জানা গিয়েছে।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে সোমবারই এই খসড়া প্রস্তাবের উপর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে কূটনীতিকরা জানিয়েছেন। প্রস্তাবটি গৃহীত হতে হলে সেটির পক্ষে অন্তত নয়টি ভোট পড়তে হবে এবং স্থায়ী কোন সদস্য দেশ তাতে ভেটো দেওয়া চলবে না। রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ।