যুক্তরাষ্ট্র বলছে ইরানের পরমাণু চুক্তি ‘এখনই আমাদের প্রাধান্য নয়’

ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রকাশিত এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে কর্মকর্তারা এবং গণমাধ্যম ইরানের আরাক স্থাপনাটি পরিদর্শন করার সময় প্রযুক্তিবিদেরা আরাক হেভি ওয়াটার রিয়েক্টর চুল্লির সেকেন্ডারি সার্কিটে কাজ করছেন। ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯। ফাইল ছবি।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা ‘এখনই আমাদের প্রাধান্য নয়’। তারা বলেছে, তেহরান চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করতে তেমন আগ্রহ দেখায়নি এবং ওয়াশিংটন কীভাবে ইরানি বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করা যায় সেদিকে মনোনিবেশ করছে।

ইরান যে চুক্তির অধীনে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিনিময়ে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচীকে সীমিত করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র সেই চুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আলোচনা করতে আগ্রহী কিনা জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস উত্তর দিয়েছিলেন, এটি ‘এখনই আমাদের প্রাধান্য নয়।’

একটি ব্রিফিং-এ প্রাইস বলেন, “এটি খুবই স্পষ্ট, এবং ইরানিরা খুব স্পষ্ট করে বলেছে যে, এটি এমন কোনো চুক্তি নয় যেটি তারা করতে প্রস্তুত ছিল। চুক্তিটি এর মধ্যে কার্যকর হবে বলে মনে হচ্ছে না।”

ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর শুরু হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের প্রাধান্য তারা কী করছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা এবং আমাদের পক্ষে যেভাবে সম্ভব তাদেরকে সমর্থন করা।”

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরান এবং ৬টি বৃহৎ শক্তির মধ্যকার পারমাণবিক চুক্তি ত্যাগ করেছিলেন এবং একতরফাভাবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করছিলেন। এ নিষেধাজ্ঞা ইরানের তেল রপ্তানি রোধ করে দেশটির অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্থ করেছে।

এক বছর পরে তেহরান ধীরে ধীরে চুক্তিতে উল্লিখিত পারমাণবিক সীমা লঙ্ঘন করে প্রতিক্রিয়া দেখায়। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং উপসাগরীয় আরবের আশঙ্কা পুনরুজ্জীবিত হয় যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাচ্ছে। ইরান এ দাবি অস্বীকার করে।