বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনার লক্ষ্য চীন, রাশিয়া

মেরিন ওয়ানে চড়ে ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওভাল অফিসের দিকে হাঁটছেন। ১০ অক্টোবর, ২০২২। ফাইল ছবি।

বুধবার হোয়াইট হাউস একটি দীর্ঘ বিলম্বিত জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল চালু করেছে। এটি গণতান্ত্রিক দেশগুলো যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে সেগুলো মোকাবিলায় মিত্রদের সাথে কাজ করার গুরুত্বের ওপর পুনরায় জোর দিয়ে চীনের উত্থানকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।

৪৮ পৃষ্ঠার নথিটি ইউক্রেন সংকটের কারণে বিলম্বিত হয়েছে। এতে চিন্তাভাবনার বড় কোনো পরিবর্তন নেই এবং বাইডেনের পররাষ্ট্র নীতির জন্য বৃহৎ কোনো নতুন মতবাদ প্রবর্তন করা হয়নি। বরং নথিটি হোয়াইট হাউসের এই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে যে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের উত্থানের মতো বিশ্বব্যাপী হুমকিগুলো কাটিয়ে উঠতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব হলো মূল চাবিকাঠি।

এতে বলা হয়েছে, এমনকি রাশিয়ার আগ্রাসনের পরেও চীন বৈশ্বিক ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বজুড়ে তার প্রভাব ধরে রাখতে চায় তবে দেশটিকে অবশ্যই পরাশক্তির সাথে অর্থনৈতিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় জিততে হবে।

সালিভান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, সংক্রামক রোগ, সন্ত্রাসবাদ, জ্বালানির স্থানান্তর এবং মুদ্রাস্ফীতিসহ সর্বত্র মানুষকে প্রভাবিত করছে এমন আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করার সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের সাথে সম্পর্কও পরিচালনা করতে হবে।

বাইডেন এখনো চীনা পণ্যের ওপর তার পূর্বসূরি ডনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কসহ মূল কিছু বৈদেশিক নীতি বিতর্কের সমাধান করতে পারেননি। ডনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত এই শুল্কের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সালিভান বলেন, ইউক্রেন সংকট এ নিরাপত্তা কৌশলকে বিলম্বিত করলেও বৈদেশিক নীতিতে বাইডেনের দৃষ্টিভঙ্গি “মৌলিকভাবে পরিবর্তন” করেনি। তবে এটি পলিসি অ্যাকশন হিসেবে বাস্তব বিশ্বের উদাহরণ হিসেবে কাজ করছে।