আফগানিস্তানের ক্রমহ্রাসমান শিখ সম্প্রদায়ের অনেকে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে

হরবানস সিং (বাম থেকে দ্বিতীয়) সম্প্রতি আফগানিস্তান ছেড়ে নতুন দিল্লিতে এসেছেন। তিনি শিখ মন্দিরে সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলছেন। (অঞ্জনা পাসরিচা/ভয়েস অফ আমেরিকা)

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির সরু গলিতে অবস্থিত একটি শিখ মন্দিরে ৬০ বছর বয়সী হারবানস সিং সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রার্থনা করছেন। তিনি আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর মন্দিরটি তার অস্থায়ী গৃহে পরিণত হয়েছে। আফগানিস্তানে তার পরিবার কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করছিল।

যদিও তালিবান শিখ সম্প্রদায়কে আফগানিস্তানে থাকার এবং তাদের ধর্ম পালন করার অধিকারের আশ্বাস দিয়েছিল, তারা পুনরায় ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর শিখ সম্প্রদায়টি পুনরায় সহিংসতার ভয়ে আক্রান্ত।

জুন মাসে কাবুলের একটি শিখ মন্দিরে মারাত্মক হামলায় একজন উপাসক নিহত এবং সাতজন আহত হয়। এর ফলে আফগান শিখদের দেশত্যাগ ত্বরান্বিত হয়। ইসলামিক স্টেট ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এমনকি তালিবান শাসনের আগেও শিখ মন্দিরগুলোতে আক্রমণ করা হয়েছিল। ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী সেসব হামলার দায় স্বীকার করেছিল।

ভারত সরকার ভিসা, রেসিডেন্সি পারমিট এবং উচ্ছেদকৃতদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া শিখ ও হিন্দুদের প্রত্যাবাসনের সুবিধা দিয়েছে। শিখ ধর্মের জন্মস্থান ভারত বিশ্বের অধিকাংশ শিখের আবাসস্থল।

সিংরা, যারা আগে কখনো ভারতে আসেনি, তারা মন্দিরে আশ্রয় পেয়ে নিরাপদ বোধ করছে। আফগানিস্তান ত্যাগকারীদের জন্য দীর্ঘকাল ধরে এটি আশ্রয়ের প্রাথমিক স্থল এবং কাবুল থেকে আগতদের জন্য মন্দির হিসেবে পরিচিত।

কিন্তু বংশ পরম্পরায় তারা যে দেশে বসবাস করতো সেখান থেকে চলে আসাও কঠিন ছিল।