সোমবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছেন, তাইওয়ান এবং চীনের মধ্যকার যুদ্ধ ‘একেবারেই কোনো অপশন নয়’ । তিনি বেইজিং-এর সাথে আলোচনার জন্য পুনরায় ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ দ্বীপের প্রতিরক্ষা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে চীন তার অঞ্চল হিসেবে দাবি করে। তাইওয়ান বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপেই সফরের পরে আগস্টের শুরুতে চীনের মহড়ার পরে বেইজিং-এর কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান সামরিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে।
তাইওয়ান নিয়ে যেকোনো দ্বন্দ্ব বিশেষ করে স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট থেকে ফাইটার জেট পর্যন্ত সমস্ত কিছুতে ব্যবহৃত সেমিকন্ডাক্টরের নির্মাতা হিসেবে তাইওয়ানের প্রভাবশালী অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং সম্ভবত বিশ্বের বেশিরভাগ অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেইসাথে বিশ্ব অর্থনীতিকে ভেঙে দিতে পারে।
ধূসর আকাশের নিচে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে জাতীয় দিবসের বক্তৃতায় সাই বলেছেন, এটি দুঃখজনক যে, চীন ভীতি প্রদর্শন করেছে এবং তাইওয়ান প্রণালী এবং এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতি তাইওয়ানের জনগণের প্রতিশ্রুতিতে আপোষের সুযোগ আছে- চীনের এমনটা মনে করা উচিত নয়।
বেইজিং-এ চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস শুরু হওয়ার যখন এক সপ্তাহেরও কম সময় বাকি, এমন সময়ে সাই এই বক্তব্য রাখেন। কংগ্রেসে শি জিনপিং নজিরবিহীনভাবে তৃতীয়বারের মতো ৫ বছর মেয়াদে জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সাই বলেছেন, তাইওয়ান বিশ্বকে প্রদর্শন করবে যে, তারা নিজেদের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব নিচ্ছে।