ভারতে হিমালয়ের তুষারধসে মৃতের সংখ্যা ১৯
ভারতে হিমালয় পর্বতের তুষারধসে পর্বতারোহীদের কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে চতুর্থ দিনেও অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে।
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডের মাউন্ট দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২-এর চূড়ার কাছে মঙ্গলবারের একদল পর্বত আরোহনের প্রশিক্ষণার্থী ও প্রশিক্ষক বিশাল তুষারধসে চাপা পড়ে।
রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র রিধিম আগরওয়াল বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, “১৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে।”
তিনি বলেন, “উদ্ধার তৎপরতা পুনরায় শুরু করা হয়েছে তবে তা নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপরে। আবহাওয়া খারাপ।”
পুলিশ, দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীকে অনুসন্ধান প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য একত্রিত করা হয়েছে। তুষার এবং বৃষ্টিপাত সত্ত্বেও ৩২ জনকে পাহাড় থেকে সফলভাবে উদ্ধার করা হয়েছে।
ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৯’শ মিটার উচ্চতায় তুষারধসের কাছে হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য আগে থেকেই একটি জায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে।
পর্বতারোহী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে একজন সুনীল লালওয়ানি, তিনি বহু মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রশিক্ষকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন।
লালওয়ানিকে উদ্ধৃত করে হিন্দুস্তান টাইমস বৃহস্পতিবার বলেছে, “আমরা পর্বতের শিখর থেকে ৫০-১০০ মিটার দূরে ছিলাম এবং আমাদের প্রশিক্ষকরা আমাদের সামনে ছিলেন, যখন হঠাৎ একটি তুষারধস আমাদের আঘাত করে, সবাইকে নিচে নিয়ে যায়।”
“কয়েক মুহুর্তের মধ্যে এটা ঘটেছে এবং আমাদেরকে একটি ফাঁকা খাদের মত জায়গায় ফেলে দেয় যেখানে আমরা কোনোরকমে শ্বাস নিতে পারছিলাম... তাদের কারণেই আমরা আজ বেঁচে আছি।”
সপ্তাহের শুরুতে উদ্ধারকৃত মৃতদেহগুলির মধ্যে এই বছর এভারেস্টে আরোহণকারী পর্বতারোহী সবিতা কানসাওয়ালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কানসাওয়ালে এই অভিযানের একজন প্রশিক্ষক ছিলেন। তিনি মাত্র ১৬ দিনের মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং নিকটবর্তী মাকালুশৃঙ্গ আরোহণ করে পর্বত-আরোহণকারী সম্প্রদায়ের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন এবং তিনি নারীদের ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন।