হাইতিতে আবার কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব; কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু

পোর্ট-অ-প্রিন্সের গ্যাং-নিয়ন্ত্রিত সাইট সোলেইলের একটি রাস্তায় একজন নারী দাঁড়িয়ে আছেন। ফাইল ছবি।

রোববার হাইতি বলেছে, সেখানে হঠাৎ করেই আবার কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। কলেরায় আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাইতিতে গ্যাংগুলোর অবরোধের কারণে পঙ্গু অবস্থা তৈরি হয়েছে। অবরোধের ফলে সেখানে জ্বালানি এবং বিশুদ্ধ পানীয় জলের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রক পোর্ট-অ-প্রিন্স এলাকায় কলেরা আক্রান্তের একটি ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এছাড়া রাজধানীর বাইরের সাইট সোলেইল শহরে কলেরার সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাবের ঘটনা রয়েছে। সাইট সোলেইলে জুলাই মাসে ভয়ংকর গ্যাং সংঘাত হয়েছিল।

সেপ্টেম্বরে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে গত মাস থেকে হাইতির গ্যাংগুলো দেশটির প্রধান জ্বালানি বন্দর অবরোধ করে রেখেছে। ন

রোববার বোতলজাত পানির একটি প্রধান সরবরাহকারী ক্যারিবিয়ান বটলিং কোম্পানি বলেছে, তারা আর বিশুদ্ধ পানি উৎপাদন ও বিতরণ চালিয়ে যেতে পারবে না। কারণ তাদের ডিজেল শেষ হয়ে গেছে। জ্বালানি হিসেবে ডিজেল এটির সরবরাহ চেইনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

কলেরার কারণে অনিয়ন্ত্রিত ডায়রিয়া হয়ে থাকে।

কলেরা সাধারণত অসুস্থ ব্যক্তির মল দ্বারা দূষিত পানি থেকে ছড়ায়। অর্থাৎ বিশুদ্ধ পানীয় জল এই রোগের বিস্তার রোধ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নেপালে কলেরার সংকট চলছে। ২০০৪ সালে হাইতির প্রেসিডেন্ট জিন-বারট্রান্ড অ্যারিস্টাইডের উৎখাতের পর প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর অংশ হিসেবে নেপালের সৈন্যরা হাইতিতে ছিল। ২০১০ সালের ভূমিকম্পের পর হাইতিতে শান্তিরক্ষী বাহিনীর আকার বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

এই প্রাদুর্ভাবের কোনো দায় না নিয়েই ২০১৬ সালে জাতিসংঘ এর জন্য ক্ষমা চেয়েছিল।