যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য আর্মেনিয়া, আজারবাইজান পরস্পরকে অভিযুক্ত করেছে

আর্মেনিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রকাশিত ইউটিউব ফুটেজ থেকে নেওয়া এই ছবিতে, আজারবাইজানি সেনারা আর্মেনিয়ান-আজারবাইজানি সীমান্ত অতিক্রম করে এবং আর্মেনিয়ান অবস্থানের কাছে আসতে দেখা যাচ্ছে৷ ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২।

আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান বুধবার একে অপরকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে। পাঁচ দিনের মধ্যে এই ধরনের দ্বিতীয় লঙ্ঘন। ঐ যুদ্ধবিরতির কারণে দেশ দুটি এই মাসে দুই দিনের যুদ্ধ শেষ করেছে।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে আর্মেনিয়ার ইউনিটগুলি কালবাজার অঞ্চলে আজারবাইজানের অবস্থানগুলিতে গুলি চালাতে শুরু করে। এতে তাদের একজন সেনা সদস্য আহত হয়। তারপরই আজারবাইজান বাহিনী "প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা" গ্রহণ করে।

অন্যদিকে, আর্মেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ঠিক উল্টা কথা বলেছে। এক টুইট বার্তায় তারা বলেছে, আজারবাইজানীয় বাহিনী মর্টার এবং বড়-ক্যালিবার অস্ত্র ব্যবহার করে, দুই দেশের সীমান্তের কাছে আর্মেনিয়ান অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে এবং আর্মেনিয়া এর পাল্টা জবাব দিয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে সীমান্ত সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২০০ সৈন্য নিহত হয়। এর আগে, ২০২০ সালের শেষের দিকে সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের দেশ দুটি’র মধ্যে ছয় সপ্তাহের সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধের পর, উভয় পক্ষ রাশিয়ার মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল।

আর্মেনিয়া তখন বলেছিল যে আজারবাইজান তার ভূখণ্ডে আক্রমণ করেছে এবং তার সীমান্তের ভিতরে বসতি দখল করেছে। অন্যদিকে, আজারবাইজান বলেছে যে তারা আর্মেনিয়ান পক্ষ থেকে "উস্কানি" এর জবাব দিচ্ছে।

গত শুক্রবার, উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে সীমান্তে গুলি চালিয়ে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার অভিযোগ তোলে।

কয়েক দশকের পুরনো লড়াইটি শুরু হয় পার্বত্য এলাকা নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে। ওই এলাকাটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসাবে স্বীকৃত, কিন্তু ২০২০ সাল পর্যন্ত বেশিরভাগ জাতিগোষ্ঠীগত আর্মেনিয়ান জনসংখ্যা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল।