উগান্ডা বলছে ইবোলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬-তে পৌঁছেছে

উগান্ডার এক স্বাস্থ্যকর্মী গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো-র সীমান্তবর্তী কাসেসে জেলায় কীভাবে ইবোলার বিস্তার রোধ করা যায় সে সম্পর্কিত একটি ফ্লাইয়ার দেখাচ্ছেন। ১৫ জুন, ২০১৯। ফাইল ছবি।

রবিবার উগান্ডা বলেছে, দেশটিতে ইবোলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬-তে পৌঁছেছে এবং আরও ১৮ জনের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে এমন একটি স্ট্রেইনের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যেটির ভ্যাকসিন এখনো পাওয়া যায়নি।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি টুইট বার্তায় আরও বলেছে, নিশ্চিতভাবে ইবোলায় সংক্রমিত হয়েছে এমন চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ইবোলায় সংক্রমিত হয়েছে এমন সম্ভাবনার অধীনে থাকা ১৭ জন মারা গেছে। ইবোলার প্রাদুর্ভাব মধ্য উগান্ডার তিনটি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।

পূর্ব আফ্রিকার দেশটি গত সপ্তাহে ইবোলার প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করেছে। এটি একটি রক্তক্ষরণজনিত জ্বর। এর লক্ষণের মধ্যে রয়েছে শরীরের তীব্র দুর্বলতা, পেশী ব্যাথা, মাথাব্যাথা এবং গলা ব্যাথা, বমি, ডায়রিয়া এবং ফুসকুড়ি।

ইবোলা সুদান স্ট্রেনের সংক্রমণের কারণে বর্তমানে এই প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে মুবেন্দে জেলার একটি ছোট গ্রামে এই প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু হয় ২৪ বছর বয়সী একজন ব্যক্তির। এ সপ্তাহের শুরুতে তিনি মারা যান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সুদানের ইবোলা স্ট্রেন তুলনামূলকভাবে কম সংক্রমণযোগ্য। এটিতে মৃত্যুর হার পূর্ববর্তী ইবোলা জায়ারের প্রাদুর্ভাবের তুলনায় কম। ইবোলা জায়ার স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবেশী গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে ২০১৮ থেকে ২০২০ সালে মহামারীতে প্রায় ২ হাজার ৩ শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।