জাতিসংঘের তদন্তকারীরা ইথিওপিয়ার বিরুদ্ধে টিগ্রায়তে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে  

ফাইল - টিগ্রায়-এর রাজধানী মেকেলের উত্তরে উক্রোতে ফেডারেল মৈত্রী বাহিনীর গোলার আঘাতে এক নারী তার ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির দেয়ালে দাঁড়িয়ে।

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা ইথিওপিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে টিগ্রায় অঞ্চলে গুরুতর লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন যা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতা বিরোধী অপরাধের শামিল হতে পারে।

ইথিওপিয়া সম্পর্কিত মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের বিশেষজ্ঞরা বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের কাছে তাদের প্রথম রিপোর্টটিজমা দিয়েছে। তিন সদস্যের কমিশন জানিয়েছে যে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় টিগ্রায় প্রদেশে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যাপক ও ভয়াবহ সহিংসতা চালানো হয়েছে।

ঐ রিপোর্টে তারা বলছেন, সরকার বা বিদ্রোহী টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টদল এদের কেউই নিরোপরাধ নয়। যদিও ঐ প্রতিবেদনে নথিভুক্ত বেশিরভাগ নৃশংসতার জন্য সরকার দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে ঐ সব অপরাধের মধ্যে কিছু এখনো তারা চালিয়ে যাচ্ছে।

তদন্তকারীরা টিগ্রায়ের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করছেন। কমিশনের চেয়ারম্যান কারি বেটি মুরুঙ্গি বলেন, ফেডারেল সরকার ও তার মিত্ররা বেসামরিক জনগণের বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম জিনিষপত্র লুটপাট করেছে এবং ধ্বংস করেছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে এই অবস্থা এবং অন্যান্য কৌশল প্রয়োগের জন্য জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ মানুষের চরমভাবে সাহায্যের প্রয়োজন দেখা দেয়েছে ।

মুরুঙ্গি উল্লেখ করেছেন যে কমিশন এমন তথ্যও পেয়েছে যা ইঙ্গিত দেয় যে টিগ্রায়ের বাহিনী মানবিক ত্রাণ সামগ্রী লুটতরাজ করেছে বা অন্যভাবে অপব্যবহার করেছে।

কমিশন বলেছে, টিগ্রায় বাহিনীও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে যার কয়েকটি যুদ্ধাপরাধযোগ্য। তাদের বিরুদ্ধে আমহারার বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা এবং ব্যাপক লুটপাট ও সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়।

জেনেভায় জাতিসংঘে ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত জেনেবে কেবেদে বলেন, প্রতিবেদনে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন, বাছাই করা , বৈষম্যমূলক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।