সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের মধ্যস্থতার পর বুধবার রাশিয়া ইউক্রেনে আটক হওয়া ১০ জন বিদেশী যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে বলে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানায় যে মুক্তি পাওয়া বন্দিরা আমেরিকা, ব্রিটেন, ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো ও সুইডেনের নাগরিক। বিবৃতিতে আরও জানানো হয় যে, বন্দিদের বহনকারী একটি বিমান সৌদি আরবে অবতরণ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সংশ্লিষ্ট সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে রাশিয়ার কাছ থেকে গ্রহণ করে সৌদি আরবে স্থানান্তর করেছে এবং তাদের নিজ নিজ দেশে [ফেরত পাঠানোর] প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে।”
মন্ত্রক বন্দিদের পরিচয় প্রকাশ করেনি। সৌদি আরবের এক কর্মকর্তা জানান যে, তাদের মধ্যে ব্রিটেনের পাঁচজন, আমেরিকার দুইজন, ক্রোয়েশিয়ার একজন, মরক্কোর একজন ও সুইডেনের একজন রয়েছেন।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ব্রিটেনের নাগরিকদের মুক্তিকে “তাদের ও তাদের পরিবারের অনেক মাসের অনিশ্চয়তা ও ভোগান্তির” পর “এক বিশাল ভাল খবর” হিসেবে টুইটারে আখ্যায়িত করেছেন।
যুবরাজ মোহাম্মেদ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তেল উৎপাদনকারী গোষ্ঠী ওপেক+ এর কাঠামোটির মধ্যেও তাদের মধ্যে এমন সম্পর্ক বিদ্যমান। যদিও সৌদি আরবের প্রচলিত মিত্র যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে ব্যাপক চাপ দিয়ে আসছে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া, উভয়ের বাহিনীই সংঘর্ষ আরম্ভের পর থেকে শত শত শত্রুযোদ্ধাকে আটক করেছে। এর মধ্যে হাতেগোনা কিছু বন্দি বিনিময়ও হয়েছে।
ইউক্রেনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মিশনের প্রধান এই মাসের শুরুর দিকে বলেন যে, রাশিয়া যুদ্ধবন্দিদের সাথে সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন যে, জাতিসংঘের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, তাদের কারো কারো উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং দুর্দশায় রাখা হয়েছে, যা কিনা যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে ধরা যেতে পারে।
যুদ্ধবন্দিদের প্রতি নির্যাতন বা অন্য কোন ধরণের দুর্ব্যবহারের বিষয়টি রাশিয়া অস্বীকার করে।