তালিবান শাসনের অবসানের জন্য রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে, শুক্রবার প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা আহমেদ মাসুদ। তার এই আবেদনকে তিনি একটি নতুন পর্বের সূচনা হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আফগানিস্তানের উত্তর পাঞ্জশির উপত্যকায় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (এনআরএফ) এর প্রধান মাসুদ বলেছেন, তালিবানকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করার সময় এসেছে।
ভিয়েনায় এক সম্মেলনে তিনি বলেন, "আমরা প্রবাসীদের একত্রিত করতে চাই... এবং ধীরে ধীরে সংলাপে বসার পথ প্রশস্ত করতে চাই। আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য আমাদের কাছে একটি কার্যকর রোড ম্যাপ আছে।"
তবে তিনি বলেন, "আমরা একটি নতুন পর্বের একেবারেই শুরুতে আছি।"
ভিয়েনা সম্মেলন প্রায় ৩০ জন তালিবান বিরোধী একত্রিত হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই নির্বাসিত জীবনযাপন করছে।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের বাইরে গঠিত অনেক দলই দেশের অভ্যন্তরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট না। মাসুদ বলেন, মতপার্থক্য কাটিয়ে ওঠার এবং "ক্ষত নিরাময় করার" এখুনি সময়।
তিনি বলেন, গত বছর আমেরিকান নেতৃত্বাধীন বাহিনী প্রত্যাহারের পর, আফগানিস্তানে তালিবানের অধিগ্রহণ নারীদের অধিকার হরণ করেছে, এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্য উর্বর আবাসভূমি তৈরি করে রেখেছে।
মাসুদ কিংবদন্তি সোভিয়েত-বিরোধী এবং তালিবান-বিরোধী যোদ্ধা আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে।
পাঞ্জশিরের সিংহ নামে পরিচিত আহমেদ শাহ মাসুদকে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার দু’দিন আগে আল-কায়েদা হত্যা করে।
তারপর থেকে তাঁর ছেলে তালিবান বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবং বারবার ইসলামপন্থী শাসনকে অবৈধ বলে নিন্দা করেছেন।
এনআরএফ বাহিনী গত মে মাসে তালিবানের বিরুদ্ধে আক্রমণ ঘোষণা করে এবং এই মাসে আবারও যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার তালিবান জানিয়েছে, তাদের বাহিনী কমপক্ষে ৪০জন এনআরএফ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।
মাসুদ বলেন, "এটি অগ্রহণযোগ্য, এবং সমস্ত আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে।"