আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্তে সংঘর্ষে প্রায় ১শ জন নিহত

আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যকার সীমান্ত সংঘর্ষে আহত সেনাদের আত্মীয়রা ইয়েরেভানের একটি সামরিক হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছে। ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২।

আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে ২০২০ সালের যুদ্ধের পর তাদের সবচেয়ে খারাপ লড়াইয়ে মঙ্গলবার প্রায় ১০০ জন সৈন্যের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।

আজারবাইজানের উত্তেজনাপূর্ণ আর্মেনিয়ান-জনবহুল ছিটমহল নিয়ে লড়াইয়ের শেষ দফা রাশিয়ার মধ্যস্থতায় একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিতে সমাপ্ত হয়েছিল।

এক রাতের সংঘর্ষের পর আজারবাইজান আর্মেনিয়াকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে যার ফলে ঐতিহাসিক শত্রুদের মধ্যে আরেকটি বড় সংঘাতের আশঙ্কা নতুন করে দেখা দিয়েছে।

রাশিয়া বলেছে, যুদ্ধরত পক্ষগুলো একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে যার ফলে বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষাকৃত শান্ত অবস্থা সৃষ্টি করেছে। তবে পরবর্তীতে আজারবাইজান আর্মেনিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে “তীব্রভাবে” চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে আর্মেনিয়া বিশ্ব নেতাদের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিল। আজারবাইজান তাদের ভূখণ্ডে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে বলে আর্মেনিয়া অভিযোগ করেছে।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন উভয় দেশের নেতাদের ডেকেছেন। তার মুখপাত্র বলেছেন, ওয়াশিংটন প্রতিবেশীদের মধ্যে “অবিলম্বে যুদ্ধ স্থগিত করার এবং একটি শান্তি মীমাংসার জন্য চাপ দেবে।”

ইয়েরেভানের ঘনিষ্ঠ মিত্র মস্কো ২০২০ সালের যুদ্ধের পরে এই অঞ্চলে হাজার হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েন করেছিল। রাশিয়া ৬ মাস ধরে চলা ইউক্রেন আক্রমণের কারণে অমনোযোগী হওয়ার ফলে মঙ্গলবার অবস্থার অবনতি ঘটে।

ইইউ এবং জাতিসংঘ এই উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

আর্মেনিয়ান রাজনৈতিক বিশ্লেষক তাতিল হাকোবিয়ান বলেছেন, আর্মেনিয়া-আজারবাইজান শান্তি আলোচনার “অচলাবস্থার”র পরিণতি এ লড়াই।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময় নাগোর্নো-কারাবাখের জাতিগত আর্মেনিয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আজারবাইজান থেকে আলাদা হয়ে যায়। এর পরবর্তী সংঘাতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।