বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণে পাকিস্তান হিমসিম খাচ্ছে

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে বন্যাদূর্গত শিশুরা খাদ্য সহায়তা নিচ্ছে, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২.

পাকিস্তানের মতো অভাবগ্রস্ত দেশে রেকর্ড পরিমাণ বন্যার কারণে মৃতের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি দূর্গত লোকদের ত্রাণ পৌছাতে দেশটি হিমসিম খাচ্ছে। এই মৌসুমি বৃষ্টি থামার কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।

জুন মাসের মধ্যভাগে বৃষ্টির শুরু হয় এবং গ্রাম, সেতু , রাস্তা সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায় এবং হাজার হাজার লোক বাস্তুহীন হয়ে পড়ে। এক সময় দেশটির এক-তৃতীয়াংশ পানিতে নিমজ্জিত হয়।

কর্তৃপক্ষ বলছে মঙ্গলবার মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৪৮১ তে । তা ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির কারণে বন্যায় আরও ৫৪ জন মারা গেছেন। অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের সব চেয়ে বেশি বন্যা দূর্গত প্রদেশ সিন্ধুতেই বেশি সংখ্যক লোক মারা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন স্মরণকালের এ্ ভয়াবহ বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী।

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পাকিস্তানের মন্ত্রী শেরি রহমান সতর্ক করে বলেছেন যে গত মাসে বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর এ সপ্তাহে বৃষ্টি আবার শুরু হয়েছে এবং আগামি সপ্তাহগুলোতে আবার প্রচন্ড বৃষ্টি হতে পারে। তিনি আশংকা প্রকাশ করেন যে নতুন করে এই বৃষ্টিপাত চলমান উদ্ধার ও ত্রাণ কর্মে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। পাকিস্তানে এ যাবত বন্যার কবলে পড়েছেন তিন কোটি তিন লক্ষ লোক এবং উদ্ধার করা হয়েছে ১,৭৯,২৮১ জনকে। তা ছাড়া ৫.৮৪,২৪৬ জন তাঁবুতে আছেন।

শেরি রহমান বলেন এই অবস্থায় সেখানে স্বাস্থ্য সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। প্রধান মন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার গৃহহারা বন্যার্তদের সহয়াতা দিতে অর্থ বিতরণ শুরু করেছেন।