বাইডেন আশা করেন ক্যান্সারের অবসান যুক্তরাষ্ট্রের ‘জাতীয় লক্ষ্য’ হতে পারে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার “ক্যান্সার মুনশট” উদ্যোগে ম্যাসাচুসেটসের জন এফ কেনেডি লাইব্রেরি এবং মিউজিয়ামে বক্তব্য রাখছেন। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২।

সোমবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকানদেরকে একটি নতুন “জাতীয় লক্ষ্যে” একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। লক্ষ্যটি হলো ক্যান্সারের অবসানের জন্য তাঁর প্রশাসনের প্রচেষ্টা "অ্যাজ উই নো ইট"।

জন এফ কেনেডি প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরি এন্ড মিউজিয়ামে বাইডেন ৬০ বছর আগে জেএফকে-র বিখ্যাত মুনশট বক্তৃটাটির কথা বলছিলেন, মহাকাশ প্রতিযোগিতাকে তার নিজের প্রচেষ্টার সাথে তুলনা করেছিলেন। তার আশা তার প্রচেষ্টাটিও আমেরিকানদের মুগ্ধ করবে।

বাইডেন আশা করেন যে তিনি ফেব্রুয়ারিতে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন, সে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সারে মৃত্যুর হার আগামী ২৫ বছরে ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনবেন এবং কেয়ারগিভার ও ক্যান্সারে আক্রান্তদের জীবনে নাটকীয় উন্নয়ন ঘটাবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, লক্ষ্যটি অর্জনযোগ্য তবে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ প্রয়োজন।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির অনুমান, ২০২২ সালে ১৯ লাখ নতুন মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে এবং ৬ লাখ ৯ হাজার ৩৬০ জন ক্যান্সার রোগে মারা যাবে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগের পরেই ক্যান্সারের অবস্থান।

ব্যাপারটি বাইডেনের কাছে ব্যক্তিগত একটি বিষয়ও। ২০১৫ সালে তার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে বিউ মন্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বিউ-এর মৃত্যুর পরে কংগ্রেস একুশ শতকের নিরাময় আইন পাস করে, যার অধীনে ক্যান্সার গবেষণার জন্য ৭ বছরের মধ্যে ১৮০ কোটি ডলার উৎসর্গ করেছিল। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন।

ওবামা তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ক্যান্সার তহবিল পরিচালনার জন্য “মিশন কনট্রোল” পরিচালনার জন্য মনোনীত করেছিলেন। একজন পিতা হিসেবে বাইডেনের কষ্টের স্বীকৃতি প্রদান এবং এ সম্পর্কে কিছু করার ইচ্ছা থেকে তিনি এটি করেন। বাইডেন তার স্মৃতিকথা প্রমিজ মি, ড্যাড-এ লিখেছেন, তিনি ২০১৬ সালে মূলত বিউ-এর মৃত্যুর কারণে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।