তৃতীয় চার্লস সিংহাসনে আরোহণের সাথে সাথে জাতীয় সঙ্গীত থেকে শুরু করে নোট এবং মুদ্রা, স্ট্যাম্প ও পাসপোর্ট, এবং যুক্তরাজ্যের দৈনন্দিন জীবনের অনেক দিকের পরিবর্তন ঘটবে।
মুদ্রা এবং স্ট্যাম্প
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবি প্রতিস্থাপন করে, যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে মুদ্রা এবং ব্যাঙ্কনোটে নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস এর ছবি দেখা দিতে শুরু করবে।
তার প্রতিকৃতি পূর্ব ক্যারিবিয়ান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ব্যবহৃত অন্যান্য মুদ্রায়ও প্রদর্শিত হবে।
জার্সির চ্যানেল আইল্যান্ডস, গার্নসি, আইল অফ ম্যান এবং জিব্রাল্টার, সেন্ট হেলেনা এবং ফকল্যান্ডে, ব্রিটিশ রাজত্ব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত দ্বীপ ও অঞ্চলগুলিতে একই রকম নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
১৯৩৬ সালে, রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের শাসনামল ৩২৬ দিন স্থায়ী হয়েছিল, এবং রাজার ছবি দিয়ে মুদ্রাগুলি তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলি প্রচলনে আসার আগেই রাজা সিংহাসন ত্যাগ করেছিলেন।
সঙ্গীত এবং পাসপোর্ট
ব্রিটিশ জাতীয় সঙ্গীত হয়ে উঠবে "গড সেভ দ্য কিং" আগের গানের একটি পুরুষালি সংস্করণ।
যারা ১৯৫২ থেকে "গড সেভ দ্য কুইন" গাইছে, তাদের জন্য এটি একটি অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা ব্রিটিশদের জন্য নিঃসন্দেহে কঠিন হবে । এই সঙ্গীত নিউজিল্যান্ডের দুটি জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে একটি এবং অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার রাজকীয় সঙ্গীতের মধ্যে একটি। এ দুটি দেশের নিজস্ব জাতীয় সঙ্গীতও রয়েছে।
রাজতন্ত্রের নামে জারি করা ব্রিটিশ পাসপোর্টের ভিতরের কভারে থাকা শব্দগুলিকে পরিবর্তন করতে হবে, যেমন অস্ট্রেলিয়ান, কানাডিয়ান এবং নিউজিল্যান্ডের পাসপোর্টের ভিতরেও অনুরূপ পরিবর্তন দেখা যাবে।
যখন অফিসিয়াল মিটিং এর সময় গ্লাস উঁচু করা হয়, তখন আর "রানী" না বলে "রাজা" বলতে হবে।
রাজনীতি ও অধিকার
মহামহিম সরকারের নাম অর্থাত্ ‘হার ম্যাজেস্টি’ ট্রেজারি এবং কাস্টমসের নাম পরিবর্তিত হয়ে বলা হবে, ‘হিজ ম্যাজেস্টি’।
এটি হবে রাজার ভাষণ এবং রাণীর ভাষণ নয় যখন সংসদের উদ্বেধনী অধিবেশনে সরকারের কর্মসূচী উপস্থাপন করবে।
বাকিংহাম প্যালেসের সামনে পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় কুইন্স গার্ড এর নামও পরিবর্তন করা হবে।
পুলিশ আর রাণীর শান্তি রক্ষা করবে না; রাজার শান্তিরক্ষা করবে এবং অভিজ্ঞ আইনজীবীরা কিউসি ("রাণীর পরামর্শক") থেকে কেসি ("রাজার পরামর্শক") এর মর্যাদা পাবেন।
লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ড থিয়েটার ডিস্ট্রিক্টের "হার ম্যাজেস্টিস থিয়েটার" যেখানে ১৯৮৬ সাল থেকে দ্য ফ্যান্টম অফ দ্য অপেরা পরিবেশিত হচ্ছে, এর নামটিও পুরুষালি করা হবে।
এবং যারা ইংরেজি বলার সময় উচ্চাভিলাষ প্রকাশ করতে "রাণীর ইংরেজি" অনুসরণ করতেন। তাদের এখন তৃতীয় চার্লস এর মতো কথা বলার চেষ্টা করতে হবে: "রাজার ইংরেজি"!