শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা সাংবাদিক সিদ্দিক কাপানের জামিনে মুক্তির আদেশ দিয়েছে। উত্তর প্রদেশে উচ্চবর্ণের হিন্দু পুরুষদের বিরুদ্ধে একজন দলিত মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগে দলিত মেয়েটির পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময় কাপ্পানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ১৯ বছর বয়সী মেয়েটিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার পরে রাজ্য সরকার দ্রুত তার লাশ দাহ করে যা দেশব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেয়।
নয়াদিল্লি-ভিত্তিক মুসলিম সাংবাদিক কাপ্পান মালায়ালাম ভাষার সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেন। ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর কথিত ধর্ষণের ঘটনাস্থল হাথ্রাস শহরে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন-১৯৬৭ নামের একটি কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগপত্রে পুলিশ বলেছে কাপ্পানের প্রতিবেদন “শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র মুসলিমদের উসকানি দেয়ার জন্য যা [মুসলিম রাজনৈতিক সংগঠন] পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই-এর গোপন এজেন্ডা।” পুলিশ অভিযোগপত্রে আরও বলেছে যে, পিএফআই সন্ত্রাস-সম্পর্কিত কার্যকলাপে জড়িত এবং কাপ্পান সংগঠনটির সাথে সম্পৃক্ত ।
শুক্রবার কাপ্পানের জামিন মঞ্জুর করার সময় ভারতের প্রধান বিচারপতি উদয় অমেশ ললিত বলেন, “প্রত্যেক ব্যক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায় বিচার প্রয়োজন এবং একটি সার্বিক আওয়াজ তোলা দরকার। এটি কি আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ?”
আদেশে বলা হয়েছে, ৩ দিনের মধ্যে কাপ্পানকে মুক্ত করতে হবে।
কাপ্পানের আইনজীবী মোহাম্মদ ধানীশ কেএস পুলিশের অভিযোগকে “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট” বলে অভিহিত করেছেন।