দক্ষিণ ভিয়েতনাম কারাওকে পার্লারে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত

আন ফু কারাওকে বারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পরিবারের সদস্যরা ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির উত্তরে বিনহ ডুয়াং প্রদেশের থুয়ান আন জেনারেল হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছেন, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২।

ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চলে কারাওকে পার্লারের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে এবং ভবনটির কিছু অংশ এক দিনের বেশি সময় পরেও প্রবেশ অযোগ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

মঙ্গলবার গভীর রাতে শুরু হওয়া অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিনহ ডুয়ং প্রদেশের থুয়ান আন শহরের বহুতল ভেন্যুর ভিতরে শ্রমিক ও গ্রাহকরা আটকা পড়েছিলেন বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও পরের দিনও তার রেশ ছিল।

ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সি বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে ৩২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে কমপক্ষে একটি কারাওকে রুম এবং একটি স্টোরেজ রুমে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্বাসরোধ হয়ে কিছু লোক আর অন্যরা আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে উপরের তলাগুলো থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়। মই ব্যবহার করে দমকলকর্মীরা অন্যদের উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

প্রেসিডেন্ট গুয়েন জুয়ান ফুক নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের এই পরিবারগুলোকে সহায়তা করতে এবং দ্রুত আগুন লাগার কারণ খুঁজে বের করতে বলেছেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে ভবনের দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সুত্রপাত।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক অংশে বিনোদনের স্থানগুলিতে নিরাপত্তা মান শিথিল থাকে বলে এধরনের দুর্ঘটনায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হয়।

থাইল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, আগস্টের প্রথম দিকে, পূর্ব প্রদেশের চোনবুরির একটি পানশালা লাইসেন্স ছাড়াই লাইভ বিনোদনের ব্যবস্থা করেছিল। সে সময় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বের হবার রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ করে রাখায় অনেক লোক ভিতরে আটকা পড়ে।

সেই আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জন, তাদের মধ্যে ১৩ জন আগুনের রাতে এবং ১০ জন তখন থেকে এ পর্যন্ত এক মাসে মারা গেছেন। কমপক্ষে আরও পাঁচজন এখনও ভেন্টিলেটরে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।