সাইবার হামলার কারণে ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আলবেনিয়া

আলবেনিয়ার তিরানায় একজন পুলিশ অফিসার ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাসের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। ৭ সেপ্তেম্বর, ২০২২।

আলবেনিয়া ইরানি কর্মকর্তাদেরকে দেশ থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং তেহরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। একটি সাইবার হামলার তদন্তের পর দেশটি এই উপসংহারে এসেছে যে, জুলাই মাসে আড্রিয়াটিক সাগরের উপকূলে দেশটির আঘাতের ঘটনাটি ইরানের “রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন” ছিল।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী এডি রামা সমস্ত ইরানি কূটনীতিক এবং দূতাবাসের কর্মীদের বহিষ্কারের ঘোষণা দেন এবং তাদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগ করতে বলেন।

রামার সরকারি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “অকাট্য” প্রমাণ রয়েছে যে তেহরান “আলবেনিয়া প্রজাতন্ত্র সরকারের ডিজিটাল অবকাঠামোর বিরুদ্ধে একটি গুরুতর সাইবার আক্রমণের কার্যক্রমকে সমর্থন করছে।”

রামা বলেন, তিরানা ইতোমধ্যে ইরানের দূতাবাসে একটি কূটনৈতিক নোটে ইরানকে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

তারা আরও বলেছে যে তারা নেটো সদস্যদের সাথে তাদের ফলাফলগুলো ভাগ করেছে।

সাইবার হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অভিযোগ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদের ব্যাপারে ইরানের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে আলবেনিয়ার কর্তৃপক্ষ পিপলস মুজাহেদিন অফ ইরান (এমইকে) নামে পরিচিত একটি নির্বাসিত গোষ্ঠীর প্রায় ৩ হাজার সদস্যকে গ্রহণ করার জন্য সম্মত হওয়ার পরে তিরানা এবং তেহরানের মধ্যকার সম্পর্কের নাটকীয়ভাবে অবনতি হতে থাকে। ওই গোষ্ঠীর সদস্যদের ইরানি কর্মকর্তারা সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে।

এফবিআই থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ মন্টিনিগ্রোতে পাঠানো হয়েছিল। বলকান অঞ্চলের নেটো সদস্য এই রাষ্ট্রটির কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের সরকার ও পরিষেবাগুলোর ওপর একটি বিশাল এবং সমন্বিত সাইবার আক্রমণ চালানো হয়েছে।

মন্টিনিগ্রোর ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এএনবি) থেকে একটি সূত্র প্রাথমিকভাবে রুশ নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোকে সন্দেহজনক বলে দাবি করেছিল। তবে কিউবার একটি গোষ্ঠী পরে দাবি করেছিল যে, তারা এই হামলার পেছনে ছিল।

ভয়েস অফ আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি করেস্পন্ডেন্স জেফ শেল্ডিন এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।