ইয়েমেনে আল-কায়েদার হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে: সরকারি সুত্র

ইয়েমেনের মারিব গভর্নরেটের আল-জাদানে হুথি বিদ্রোহীদের সাথে ইয়েমেনের সৌদি-সমর্থিত সরকারের সংঘর্ষের অনুগত বাহিনীকে একটি পিকআপ ট্রাকে চড়ে মহড়া দিতে দেখা যাচ্ছে। ২২ নভেম্বর, ২০২২। (ফাইল ছবি)

মঙ্গলবার ইয়েমেনের দক্ষিণে জিহাদি গোষ্ঠীর এক হামলায় ২১ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধা এবং আল-কায়েদার ইয়েমেন শাখার ছয় সদস্য নিহত হয়েছে বলে, সরকার ও নিরাপত্তা সূত্রে জানা গেছে।

একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা বা একিউএপি, আবিয়ান গভর্ণমেন্ট শাসিত অঞ্চলে অবস্থিত সংযুক্ত আরব আমিরাত-প্রশিক্ষিত সিকিউরিটি বেল্ট গ্রুপের অবস্থানগুলিতে আক্রমণ শুরু করে। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে চলে ওই সংঘর্ষ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সরকারী কর্মকর্তা বলেন, লড়াইয়ে "একজন অফিসারসহ [সিকিউরিটি বেল্টের] ২১ জন এবং আল-কায়েদা যোদ্ধাদের মধ্যে ছয়জন নিহত হয়েছে।"

দুটি নিরাপত্তা সূত্র নিহতের এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।

২০১৪ সালে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে, ইয়েমেন সংঘাতে জর্জরিত হয়েছে। পরের বছর বিপর্যস্ত সরকারের সমর্থনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু হয়।

এসব বিশৃঙ্খলায় সমৃদ্ধ হয়েছে মূলত একিউএপি এবং ইসলামিক স্টেট গ্রুপের অনুগত জঙ্গিরা।

হুথি এবং ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সমর্থক বাহিনীর মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে একটি দূ্র্বল যুদ্ধবিরতির সময় এই লড়াই শুরু হয়।

দেশটি বিভাজনের ফলে, উত্তর ইয়েমেন থেকে উদ্ভূত হুথিদের বিরোধী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ইয়েমেনের পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে সমর্থনকারী দক্ষিণ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দেশটি উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেনে বিভক্ত ছিল।