দক্ষিণ কোরিয়ায় টাইফুন হিন্নামনোরের আঘাত, হাজারো মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে

টাইফুন হিন্নামনোরের কারণে সৃষ্ট ঢেউ দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানের ওয়াটারফ্রন্টে আঘাত করছে (৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ইওনহাপ/রয়টার্স)।

টাইফুন হিন্নামনোর দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ দিকের তটরেখায় আঘাত হানার প্রাক্কালে হাজারো বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি ও শক্তিশালী বাতাসের পূর্বাভাস দিয়ে কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

কোরিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাভিমুখী এই টাইফুনটি ঘণ্টায় ৫২ কিলোমিটার (৩২ মাইল) গতিতে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কোরীয় উপদ্বীপ পেরিয়ে উপকূলীয় শহর গেজে পার হয় এবং পরবর্তীতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর উলসানে আঘাত হানে।

আশা করা যাচ্ছে, ঝড়টি মঙ্গলবার মধ্যরাতের মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে যেয়ে জাপানের সাপ্পোরো থেকে ৪০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পৌঁছাবে।

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বরাত দিয়ে তার মুখপাত্র জানান, প্রেসিডেন্ট জরুরি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন এবং কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছেন টাইফুন পুরোপুরি না যাওয়া পর্যন্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বজায় রাখতে।

আবহাওয়া সংস্থা জানায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত তীব্র বৃষ্টি, বাতাস ও ঝড়ের দমক থাকতে পারে। এছাড়াও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ‘উঁচু’ ঢেউয়ের বিষয়ে সতর্ক করে সংস্থাটি।

কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৬৩ জন মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উলসানে একজন ২৫ বছর বয়সী ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

টাইফুনের কারণে শত শত ফ্লাইট বাতিল, ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থগিত ও স্কুল বন্ধ হয়েছে।

উত্তর কোরিয়াতেও টাইফুনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। দেশটির নেতা কিম জং উন বিপর্যয় প্রতিরোধ বিষয়ক একটি ২ দিন ব্যাপী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, যেখানে দুই কোরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত একটি বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়া বারবার উত্তর কোরিয়াকে অনুরোধ করেছে এই বাঁধের পানি ছাড়ার আগে তাদের অগ্রিম সতর্কবাণী দিতে, কারণ এই উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এ বিষয়ে পিয়ংইয়ং নীরবতা অবলম্বন করেছে।