১৯৭৮ সালে, মাত্র ৩৩ দিন পোপের দায়িত্ব পালন করার পরই পোপ প্রথম জন পল-এর মৃত্যু হয়। রবিবার তিনি সাধু হিসেবে আখ্যা লাভ করার আরও একধাপ কাছে পৌঁছে যান। যদিও, তার মৃত্যু একটি হত্যাকাণ্ড ছিল বলে বিদ্যমান একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করার কাজটি ভ্যাটিকানের এখনও বাকি রয়ে গিয়েছে।
সেইন্ট পিটারস স্কয়ারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষের সম্মুখে, পোপ ফ্রান্সিস তার এই পূর্বসূরিকে স্বর্গসুখপ্রাপ্ত হিসেবে ঘোষণা করেন, যাকে বিটিফিকেশন বলা হয়। রোমান ক্যাথলিক গির্জায় এটিই সাধু ঘোষণার পূর্বের সর্বশেষ ধাপ।
জন পল তার বিনয় ও সরলতার জন্য “দ্য স্মাইলিং পোপ” (হাস্যোজ্জ্বল পোপ) হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
ফ্রান্সিস তার হিতোপদেশ বাণীতে বলেন, “একটি হাসির মাধ্যমে পোপ জন পল ঈশ্বরের উৎকর্ষ প্রচারে সক্ষম হয়েছিলেন।” সে সময়ে বজ্রবৃষ্টির মধ্যে উপস্থিত মানুষজন ছাতার নিচে জড়োসড়ো হয়ে তার বাণী শুনছিলেন।
“এমন এক গির্জা কতই না সুন্দর যেখানে একটি সুখী, নির্মল ও হাস্যোজ্জ্বল মুখ রয়েছে, যার দরজা কখনো বন্ধ হয় না, যে কখনোই অভিযোগ করে না বা ঘৃণা পোষণ করে রাখে না, রাগান্বিত হয় না বা অধৈর্য হয়ে উঠে না, যাকে দেখে কঠোর মনে হয় না বা যিনি স্মৃতিকাতরতায় ভোগেন না।”
জন পলকে আর্জেন্টিনার ১১ বছর বয়সী এক মেয়েকে সুস্থ করে তোলার এক অলৌকিক ঘটনার কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ঐ মেয়েটি মস্তিষ্কে গুরুতর প্রদাহ, মৃগীরোগ ও সেপটিক শক-এ ভুগছিল। তার বাবা-মা পোপের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন।
রোমান ক্যাথলিক গির্জা শিক্ষা দেয় যে, শুধুমাত্র ঈশ্বরই অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে পারেন, তবে সাধুগণ, যারা কিনা বিশ্বাসমতে ঈশ্বরের সাথে স্বর্গে বাস করছেন, তারা তাদের কাছে প্রার্থনাকারীদের পক্ষে ঈশ্বরের নিকট সুপারিশ করতে পারেন।
সাধু হিসেবে আখ্যায়িত করতে জন পলের দ্বিতীয় আরেকটি অলৌকিক ঘটনা প্রমাণিত হতে হবে।