একজন পশ্চিমা কূটনীতিকের মতে, ইরান পরমাণু চুক্তির বিষয়টি পুনরায় খোলার একদিন পর জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার তদন্ত বন্ধের সাথে ২০১৫ সালের ইরানের পরমাণু চুক্তির পুনরুজ্জীবনের সম্পর্ককে হোয়াইট হাউজ প্রত্যাখ্যান করেছে।
বৃহস্পতিবার ইরান চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন-প্রস্তাবিত পাঠ্যের উপর সর্বসাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছে। এই চুক্তিটির অধীনে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং জাতিসংঘের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে নিয়ন্ত্রণ করা।
যুক্তরাষ্ট্রের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে চুক্তিটি ত্যাগ করেছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাগুলি পুনরায় আরোপ করেছিলেন। যা কিনা ইরানকে পারমাণবিক বিধিনিষেধ লঙ্ঘন শুরু করতে সুযোগ দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্র, আরব ও ইসরাইলীদের মধ্যে এই আশংকা দেখা দেয় যে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা করছে। তবে ইরান পারমাণবিক উচ্চাভিলাষের কথা অস্বীকার করে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়ের যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নামে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিত চুক্তির উল্লেখ করে বলেছেন, "জেসিপিওএ পুনরায় বাস্তবায়ন এবং অপ্রসারণ চুক্তির অধীনে ইরানের আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কিত তদন্তের মধ্যে কোনো শর্ত থাকা উচিত নয়।" .
জ্যঁ-পিয়ের ইরানের তিনটি অঘোষিত স্থানে ইউরেনিয়ামের চিহ্ন পাওয়া নিয়ে ভিয়েনা-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)’র তদন্তের দিকে ইঙ্গিত করছিলেন।
তথাকথিত সুরক্ষার তদন্তের প্রস্তাব জাতিসংঘের সংস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যেটি নিশ্চিত করতে চায় যে পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তির পক্ষগুলি গোপনে পারমাণবিক উপাদানগুলিকে সরিয়ে দিচ্ছে না যা তারা অস্ত্র তৈরি করতে ব্যবহার করতে পারে।
২৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে ইরান আইএইএ সহ ২০১৫ সালের চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার কিছু প্রধান বাধা "মূলত বাদ দিয়েছে", তবে বিষয়টি পিছিয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।