মুক্তি পেলেন বুরকিনা ফাসোতে জিহাদিদের দ্বারা অপহৃত আমেরিকান সন্ন্যাসিনী

বুরকিনা ফাসোর ওয়াগাডুগুতে একটি ক্যাথেড্রালের প্রার্থনা সভায় নানরা। ৯ এপ্রিল, ২০২০। (ফাইল ছবি)

গত এপ্রিল মাসে উত্তর বুরকিনা ফাসোতে জিহাদিদের দ্বারা অপহৃত ৮৩ বছর বয়সী একজন আমেরিকান খ্রীষ্টান সন্নাসিনীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে, ক্যাথলিক চার্চ জানিয়েছে।

হলি ক্রসের মারিয়ানাইটস মণ্ডলীর ওই সন্ন্যাসিনী, সিস্টার সুয়েলেন টেনিসন, ইয়ালগোর গির্জা এলাকা থেকে অপহৃত হন। তিনি ২০১৪ সাল থেকে সেখানে কাজ করছিলেন।

এক বিবৃতিতে, কায়া ডায়োসিসের বিশপ, থিওফিল নারে, প্রফুল্ল চিত্তে ঈশ্বরের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতার সাথে ঘোষণা করেন, "টেনিসন তাঁর অপহরণকারীদের হাত থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন।"

বুধবার, বার্তা সংস্থা এএফপি-তে দেওয়া এক বিবৃতিতে নারে বলেছেন, তিনি "বর্তমানে একটি নিরাপদ স্থানে আছেন এবং ভাল আছেন।" তিনি আরও বলেন, টেনিসনের মুক্তির শর্ত সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনও বিশদ বিবরণ নেই। তবে "যারা তাঁর মুক্তির জন্য কাজ করেছেন, তাঁদের সকলের প্রতি আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।"

ওয়াশিংটনে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র "পশ্চিম আফ্রিকায় নিজারে জিম্মি করা একজন আমেরিকান নাগরিকের মুক্তির" কথা নিশ্চিত করেছেন।

ওই মুখপাত্র ব্যক্তিটিকে চিহ্নিত করেননি, তবে টেনিসন ওই অঞ্চলে একমাত্র আমেরিকান জিম্মি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

মুখপাত্র বলেন, "এই ব্যক্তি শীঘ্রই প্রিয়জনদের সাথে পুনরায় মিলিত হবেন। এই সময়ে তাঁর ইচ্ছে তিনি একান্ত নিজস্ব ক্ষেত্রে থাকতে চান এবং আমরা সকলকে তাঁর সেই ইচ্ছাকে সম্মান করার জন্য অনুরোধ করছি।"

ইয়ালগো, উত্তর বুরকিনা ফাসোর কেন্দ্রস্থল কায়া এবং ডোরি শহরের মধ্যে অবস্থিত। এলাকাটি প্রতিবেশী নিজারের মতো আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সাথে যুক্ত জিহাদিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

সেখানে ৭ বছর ধরে চলা বিদ্রোহে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং প্রায় ২০ লাখের মতো মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

২০২১ সালের এপ্রিলে, পূর্ব বুরকিনায় এক হামলার পরে নিখোঁজ হওয়া তিনজন ইউরোপীয় – স্পেনের দুই জন এবং একজন আইরিশ নাগরিককে "সন্ত্রাসবাদীরা হত্যা করেছিল," বলে কর্তৃপক্ষ সে সময় বলেছিল।