থানা বা আদালতে জব্দ করা মালামালের জন্য নির্ধারিত স্থান ‘মালখানার’ যথাযথ ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চেয়ে, হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রবিবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের ৫ আইনজীবী।
রিটে আইন সচিব, জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ডিএমপি কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটকারি পাঁচ আইনজীবী হলেন; মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না) ও ইমরুল কায়েস।
আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, “ঢাকাসহ দেশের সব আদালত এবং থানা এলাকায় জব্দ করা মালামাল আমরা দেখি বছরের পর বছর পড়ে থাকে। জব্দ করা মালামাল নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা দুনিয়ার আর কোথাও আমরা দেখিনি। বিষয়টি দেখে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু, নোটিশ পাওয়ার পরও তাদের কোনো জবাব আসেনি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।”
তিনি বলেন, “জব্দ করা মালামাল এভাবে বছরের পর বছর পড়ে থাকায়,সেটা রাষ্ট্রেরও কাজে লাগে না; আর মালিকেরও কাজে লাগে না। আমরা দেখেছি, জব্দ করা মালামালের মধ্যে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র আছে। পুরো বিষয়টি নিয়েই একটি ব্যবস্থাপনা চেয়ে রিট দায়ের করেছি।”
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।