গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াইয়ের একদিন পর, রবিবার সকালে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি এখন শান্ত। ঐ লড়াইয়ে ৩২ জন নিহত ও ১৫৯ জন আহত হয়েছেন। এই লড়াইয়ের মাধ্যমে সংসদ সমর্থি প্রশাসনের পক্ষেরেএকটি বাহিনী, ত্রিপোলিতে অবস্থিত সরকারকে উৎখাতের ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।
সকাল থেকেই শহরের সড়কগুলোতে গাড়ি চলাচল শুরু হয়, ব্যস্ত হয়ে পড়ে। দোকানগুলো খুলে দেওয়া হয়। আর লোকজন শনিবারের সংঘাতের ফলে ছড়িয়ে থাকা ভাঙা কাঁচ ও অন্যান্য আবর্জনা পরিষ্কার করতে শুরু করে। ত্রিপোলির নগরকেন্দ্রের সড়কে পুড়ে যাওয়া গাড়িগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এই লড়াইয়ের ফলে লিবিয়ায় ব্যাপকতর সংঘাতের আশঙ্কা বেড়েছে। ত্রিপোলিতে অবস্থিত দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-বেইবাহ এবং ফাতহি বাশাঘার মধ্যে এক রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাশাঘা রাজধানীতে একটি নতুন সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে চায়।
বাশাঘার ত্রিপোলি দখলের শনিবারের প্রচেষ্টাটি ছিল মে মাসের পর থেকে তার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা।
এদিকে, এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো রবিবার দিনের শুরুর দিকে জানায় যে, ত্রিপোলির মিটিগা বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এতে মনে করা যেতে পারে যে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রক রবিবার জানায় যে, শনিবারের সহিংসতায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৫৯ জন আহত হয়েছেন। এর আগে, এই মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছিল যে, আনুমানিক ২৩ জন নিহত ও ৮৭ জন আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন। এছাড়া, তিনি লিবিয়ার রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে আন্তরিক আলোচনার আহ্বান জানান।