গণধর্ষণে দোষীসাব্যস্তদের মুক্তি বাতিল করার আবেদনের শুনানি করবে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

গুজরাট রাজ্যে ২০০২ সালে এক মুসলিম নারীকে গণধর্ষণে ১১ জন অভিযুক্তকে কারাগার থেকে মুক্ত করার সাম্প্রতিক সরকারি সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাতে ভারতের মুম্বাইতে সমবেত লোকজন । ২৩ আগস্ট, ২০২২।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে ২০০২ সালে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় গর্ভবতী মুসলিম নারীকে গণধর্ষণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন হিন্দু পুরুষের গত সপ্তাহে মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করা একটি আবেদনের শুনানি করবে।

আবেদনটি রাজনীতিবিদ, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য সুভাষিনী আলী, স্বাধীন সাংবাদিক রেবতী বাউল এবং বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির সদস্য মহুয়া মৈত্রসহ একদল নারী দায়ের করেছেন বলে কৌঁসুলি কপিল সিবাল জানিয়েছেন।

সমালোচকরা দাবি করেন, যেখানে দোষীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অনেকগুলো নথিভুক্ত উদাহরণ রয়েছে, িসে খানে তাদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারটি নারীদের সমর্থন করা সংক্রান্ত সরকারের ঘোষিত নীতির সাথে সাংঘর্ষিক।

২০০৮ সালে ওই ১১ জন পুরুষ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে এখন পর্যন্ত তাদের কারাবাসের সময় এবং কারাগারে থাকাকালীন তাদের আচরণ বিবেচনা করে গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার কর্তৃপক্ষ গত সোমবার তাদেরকে ছেড়ে দেয়।

হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন লাগার পর মাসব্যাপী দাঙ্গা শুরু হয়। ট্রেনের আগুনে ৫৯ জন তীর্থযাত্রী নিহত হয়। আগুন লাগানোর জন্য হিন্দুরা মুসলমানদের অভিযুক্ত করেছে কিন্তু মুসলমানরা বলে যে, ট্রেন হামলা তাদের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। ট্রেনের হামলার জন্য বেশ কয়েকজন মুসলিমকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাঙ্গার সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যটি এখনও শাসন করে চলেছে।