জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কোভিড-১৯ শনাক্ত, মৃদু পর্যায়ের উপসর্গ

টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে কোয়াডরিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগ (কোয়াড) নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে, এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ২৪ মে ২০২২।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে রবিবার তার দফতর জানিয়েছে। এক সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রী কিশিদার তিউনিসিয়ায় আফ্রিকা উন্নয়ন সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।

শনিবার সন্ধ্যা থেকে “সামান্য জ্বর ও কাশি অনুভব করলে” কিশিদা পিসিআর পরীক্ষা করান। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক কর্মকর্তা এএফপি-কে একথা জানিয়েছেন।

সরকারি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান এনএইচকেসহ স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, তিনি হয়ত এখন ২৭-২৮ আগস্টে অনুষ্ঠিতব্য আফ্রিকার উন্নয়ন বিষয়ক টোকিও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে (টিআইসিএডি বা টিক্যাড) ভার্চুয়ালভাবে যোগ দেবেন।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জাপানে রেকর্ড সংখ্যক কোভিড-১৯ সংক্রমন ধরা পড়ছে। তবে, দেশটিতে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৬ হাজার ৭৮০। যা অন্য অনেক দেশের তুলনায় বেশ কম।

৬৫ বছর বয়সী কিশিদা এই মাসের শুরুতে টিকার চতুর্থ ডোজ গ্রহণ করেছেন। তিনি গত অক্টোবর থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি তার পরিবারের সাথে অবকাশযাপন করছিলেন এবংসোমবার থেকে তার আবার কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।

জাপানে কখনোই কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়নি। তাদের সংক্রমণ প্রতিরোধী পদক্ষেপগুলোর মধ্যে প্রধান ছিল পানশালা ও রেস্তোঁরা খোলা থাকার সময়সূচি সীমিত করা। সেই বিধিনিষেধও মার্চ মাসে সারাদেশ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

দেশটির সীমান্তও আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে, দলবদ্ধভাবে আয়োজিত ভ্রমণ ছাড়া, অন্য পর্যটকদের ভ্রমণে এখনও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

১৯৯৩ সাল থেকে প্রায় প্রতি পাঁচ বছর অন্তর আফ্রিকার দেশগুলোর অংশীদারিত্বে জাপান টিক্যাড সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক নথিতে বলা হয়, আসন্ন বৈঠকটিতে জাপান জোরালোভাবে “আফ্রিকার নেতৃত্বে উন্নয়ন” এই ধারণার প্রতি সমর্থন জানানোর কথা রয়েছে। এই ধারণার কেন্দ্রে থাকবে অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা, এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা।

নথিটিতে বলা হয় যে, এছাড়াও জাপান খাদ্য সংকট মোকাবেলায় আফ্রিকায় খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়েও অবদান রাখবে। ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে যে সংকটের আরও অবনতি হয়েছে।