বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডাব্লিউএফপি বলছে, প্রায় দুই বছরের গৃহযুদ্ধের পর ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলের অর্ধেক জনসংখ্যার খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। সাহায্য সংস্থাগুলি বলছে, ইথিওপিয়ার ফেডারেল কর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলে সাহায্য সীমিত করছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এই অবস্থাকে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছে।
শুক্রবার, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, টিগ্রায়-এর আনুমানিক ৭ কোটি মানুষের প্রায় অর্ধেকই খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন। সংস্থাটি আরও বলেছে, যে সহায়তা পাওয়া যায় এই অঞ্চলে জ্বালানী নিষেধাজ্ঞার ফলে, তা বিতরণে বাধা সৃষ্টি করছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস যিনি জাতিগতভাবে নিজেও টিগ্রায়ান এই অঞ্চলে মানবিক সংকট বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বলে দাবি করে আন্তর্জাতিক শিরোনাম করার পরে এই খবর আসে।
তিনি বলেন, টিগ্রায়ে সংকট "কোনও অতিরঞ্জন ছাড়াই" ইউক্রেনের চেয়েও খারাপ এবং বলেন যে, তাদের প্রতি অবহেলা কেবল টিগ্রায়ান মানুষের গায়ের রঙের কারণেই হতে পারে।
আন্তর্জাতিকভাবে অবহেলার দাবি ছাড়াও, ইথিওপিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে টিগ্রায়ে মানবিক অবরোধ আরোপের অভিযোগ আনা হয়েছে, যেখানে সরকারপন্থী বাহিনী ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে বিদ্রোহী টিগ্রায়ান পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট, টিপিএলএফ-এর সাথে লড়াই করছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে, ইথিওপিয়ার ফেডারেল সরকারের প্রতিনিধি বিলেন সেয়ুম বলেছেন, কিছু সাহায্য টিগ্রায় অঞ্চলের রাজধানীতে এসে পৌঁছেছে।
মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, এই সাহায্য এই অঞ্চলের কিছু অংশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি ঠেকাতে যথেষ্ট নয়।
জাতীয় সরকার বলেছে সাহায্য এবং পরিষেবা পুনরুদ্ধার করতে তারা টিপিএলএফ এর সাথে নিঃশর্তে শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
তবে, টিপিএলএফ প্রতিনিধি, ফেসেহা আসগেদম তেসেমা বলেছেন, সরকার হানাহানি বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্য সাহায্য পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাকে ব্যবহার করছে।
বৃহস্পতিবার, টিপিএলএফ জানিয়েছে, সরকার মার্চ মাস থেকে চালু থাকা মানবিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে টিগ্রায়ে তাদের সৈন্যদের উপর আক্রমণ করেছে। তবে সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।