চীনের সম্প্রসারণশীল সাবমেরিন বহর, তাইওয়ানের প্রস্তুতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন

২৩ এপ্রিল ২০১৯ এর এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চীনের পূর্বাঞ্চলের শ্যাংডং প্রদেশের কিংডাও এর কাছে নৌবাহিনীর এক প্যারেডে, চাইনিজ পিপল’স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নেভি’র লং মার্চ ১০ নামের একটি টাইপ ০৯৪এ জিন-ক্লাসের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন অংশগ্রহণ করছে। (ফাইল ফটো)

এমনকি সাধারণ মানুষের কাছেও চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সমুদ্রের পৃষ্ঠতলে একটি লড়াই ভারসাম্যহীন মনে হবে।

চীনের সাবমেরিনের সংখ্যা ২০২০ সালে ছিল ৬৬টি, যা ২০৩০ নাগাদ ৭৬টি হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সেগুলো আগামী প্রজন্মের প্রযুক্তিনির্ভর ও প্রায় নিঃশব্দে চলাচল করতে পারে।

অপরদিকে, তাইওয়ানের রয়েছে চারটি সাবমেরিন।সেগুলো বিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তিতে তৈরি, যার মধ্যে দুইটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো সক্রিয় সাবমেরিনগুলোর মধ্যে পড়ে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, তাইওয়ান নিজেদের সামরিক সরঞ্জাম আধুনিকায়ন না করলে তাদের হয়ত চীনকে প্রতিহত করার সক্ষমতায় ঘাটতি থেকে যাবে। বিশেষ করে, যখন কিনা চীন আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামের পেছনে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বিবেচনায় নিয়ে নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন করতে সামরিক নেতৃত্বের কাঠামো ঢেলে সাজাচ্ছে। ২০২২ সালে চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট ২৩,০০০ কোটি ডলার, যা কিনা যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিরক্ষা বাজেট। অপরদিকে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বাজেট ১,২৮০ কোটি ডলার, যা চীনের প্রতিরক্ষা বাজেটের ৫%।

ব্রিটিশ রয়েল নেভি’র প্রকাশিত সংবাদপত্র, দ্য নেভাল নিউজ, ১১ আগস্ট উল্লেখ করে যে, চীনের পূর্ব সাগর এর বহরটি তাদের বাহিনীতে একটি নতুন সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করেছে, যেটি “অ-পারমাণবিক শক্তি চালিত চীনের সাবমেরিনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিকে” রূপায়িত করেছে। সেই সাবমেরিনটিকে প্রায়ই ‘টাইপ ০৩৯’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। পূর্ব সাগরের এই বহরটিই তাইওয়ানের আশেপাশে অভিযানগুলো পরিচালনা করে থাকে।

প্রতিরক্ষা বিষয়ক চিন্তকগোষ্ঠী, ইয়র্কটাউন ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সাবেক ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি, সেথ ক্রিসপি ভিওএ ম্যান্ডারিনকে বলেন যে, টাইপ ০৩৯ কে উপেক্ষা করা যাবে না।

তিনি বলেন, “নিঃশব্দে চলাচলের কারণে এই সাবমেরিনটি কোন অবরোধ পরিচালনা করা, বা উভচর আক্রমণে (অ্যামফিবিয়াস অ্যাসল্ট) ব্যবহৃত কোন জাহাজকে সুরক্ষা দেওয়া, বা আক্রমণের সময়ে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করার জন্য বেশ উপযুক্ত। তাই, এই সাবমেরিনটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ব্যবস্থা।”