আইজিপি’র যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছেঃ আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

আইজিপি’র যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছেঃ আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মঙ্গলবার বলেছেন, জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ‘সমঝোতা’র ভিত্তিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের যুক্তরাষ্ট্রে পরিকল্পিত সফরের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বোঝাপড়া আছে। সেই বিশেষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই বিষয়টি (আইজিপির পরিদর্শন) আলোচনাধীন রয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে"।

বেনজিরের জাতিসংঘের তৃতীয় পুলিশ প্রধান সম্মেলনে যোগদানের কথা রয়েছে। যেটি উপলক্ষ্যে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে মন্ত্রী, পুলিশ প্রধান এবং আঞ্চলিক ও পেশাদার পুলিশ সংস্থার সিনিয়র প্রতিনিধিরা একত্রিত হবে।

এর আগে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

এই বৈঠক প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফেসবুক পাতায় বলা হয়েছে, "আজ রাষ্ট্রদূত হাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাথে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তাঁরা নিরাপত্তা সহযোগিতা ও নির্বাচনসহ বিভিন্ন দ্বি-পাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করেন। আমাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে।"

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের যুক্তরাষ্ট্র পরিকল্পিত সফর প্রসঙ্গে ভয়েস অফ আমেরিকার পক্ষ থেকে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দূতাবাসের মুখপাত্র জানান, "যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ভিসা রেকর্ড খুবই গোপনীয়; সুতরাং, আমরা কোন ব্যক্তির ভিসার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারি না। কেউ ভিসা পাবার জন্য যোগ্য কি না, সে বিষয়েও আমরা আগে থেকে কিছু অনুমান করতে পারি না।"

জাতিসংঘ আয়োজিত সম্মেলনে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সীমিত কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, জাতিসংঘের সদর দফতর চুক্তির অধীনে, জাতিসংঘের স্বাগতিক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সাধারণত জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের জাতিসংঘ সদর দফতরে ভ্রমণের সুবিধা দিতে বাধ্য। জাতিসংঘ সদর দফতর চুক্তির অধীনে আমরা আমাদের বাধ্যবাধকতাগুলিকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখে থাকি।"

তবে মুখপাত্র বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, "র‍্যাব এবং এর বর্তমান ও সাবেক নেতাদের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ রয়েছে। আমরা র‌্যাবের দ্বারা সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতার অভাব নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন।"