স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতে ক্রাইমিয়ায় বিধ্বস্ত রুশ বিমানঘাঁটি দেখা যাচ্ছে

স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে ক্রাইমিয়ায় বিধ্বস্ত সাকি বিমানঘাঁটি দেখা যাচ্ছে, ১০ আগস্ট ২০২২। (প্ল্যানেট ল্যাবস/রয়টার্সের মাধ্যমে পাওয়া)

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে, ক্রাইমিয়ায় অবস্থিত এক রুশ বিমানঘাঁটিতে ধ্বংসযজ্ঞ দেখা গিয়েছে। সেখানে কয়েকদিন আগে আঘাত হানা হয়েছিল। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে যে, ইউক্রেন হয়ত এমন নতুন দূরপাল্লার আক্রমণ সক্ষমতা অর্জন করেছে যা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।

প্ল্যানেট ল্যাবস নামের এক স্বাধীন স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত ছবিতে তিনটি গর্ত দেখা যায়, যেগুলো রাশিয়ার সাকি বিমানঘাঁটির ভবনে নির্ভূলভাবে আঘাত করেছে। ক্রাইমিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত ঐ ঘাঁটিতে আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে অন্তত আটটি যুদ্ধবিমানের আগুনে পুড়ে যাওয়া খোলস পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে।

বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি রাশিয়া প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে যে, মঙ্গলবার ঐ ঘাঁটিতে দেখতে পাওয়া বিস্ফোরণগুলো দুর্ঘটনাবশত হয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেনও প্রকাশ্যে ঐ আক্রমণের দায় স্বীকার করেনি বা ঠিক কিভাবে তা চালানো হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেনি।

পশ্চিমা সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ও যত নির্ভুলভাবে আক্রমণটি চালানো হয়েছে তা দেখে মনে হয় যে, ইউক্রেনের হাতে শক্তিশালী নতুন সক্ষমতা এসেছে, যেটির গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য রয়েছে।

রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখল করে নেয়। তারা ঐ উপদ্বীপটিকে তাদের কৃষ্ণ সাগরের নৌবহরের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে। এছাড়াও সেটিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চল দখলকারী রুশ বাহিনীর রসদ সরবরাহের প্রধান পথ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। আগামী সপ্তাহগুলোতে ঐ দক্ষিণাঞ্চলে এক পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন।

ঠিক কিভাবে হামলাটি চালানো হয়েছে তা এখনও একটি রহস্য হয়ে রয়েছে। ইউক্রেনের কিছু কিছু কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানানো হয় যে, তারা এমন আভাস দিয়েছেন যে এটি হয়ত অনুপ্রবেশকারীদের করা নাশকতা। তবে, প্রায় একইরকম দেখতে গর্তগুলো এবং যুগপৎ বিস্ফোরণ এই ইঙ্গিত করে যে, সেখানে এমন দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়, যেগুলো রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধোঁকা দিতে সক্ষম।