ইসরাইল ও ইসলামিক জিহাদের মধ্যকার ‘নাজুক’ যুদ্ধবিরতি চুক্তি এখনও বহাল

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি জঙ্গীদের মধ্যে এক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর, এক ফিলিস্তিনি নারী তার বাসার ধ্বংসস্তুপ থেকে কুড়িয়ে নেওয়া কাপড়গুলো তার বাসার বাইরে ঝুলিয়ে রাখছেন, ৮ আগস্ট ২০২২।

মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও গাজার ইসলামিক জিহাদ জঙ্গীদের মধ্যে হওয়া এক “নাজুক” যুদ্ধবিরতি চুক্তি সোমবার সকালেও টিকে আছে বলেই মনে হয়েছে। এর ফলে সাম্প্রতিক প্রবল সংঘাতের অবসান হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। ঐ সংঘাতে ১৫টি শিশুসহ অন্তত ৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি রাত ১১:৩০ মিনিট (২০৩০ জিএমটি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। চুক্তিটির উদ্দেশ্য হল, গত বছরের ১১ দিনের যুদ্ধের পর থেকে গাজায় হওয়া সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাত হ্রাস করা। গত বছরের ঐ যুদ্ধে ফিলিস্তিনি উপকূলীয় এলাকাগুলো বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তিটির আগে পর্যন্তও হামলা ও রকেট হামলা চলতে থাকে। শান্তি কার্যকর হওয়ার কয়েক মুহুর্ত আগে ও পরে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে সাইরেন বেজে উঠে। তবু, চার ঘন্টা পরও কোন পক্ষই গুরুতরভাবে চুক্তি লঙ্ঘনের কোন খবর জানায়নি।

যুদ্ধবিরতি আরম্ভ হওয়ার তিন মিনিট পর দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলে, “ইসরাইলের ভূখণ্ডের দিকে ছোঁড়া রকেটের জবাবে, (সামরিক বাহিনী) বর্তমানে (গাজায় ইসলামিক জিহাদের মালিকানায় থাকা) বিস্তৃত পরিসরের লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা চালাচ্ছে”।

তবে, পরবর্তীতে দেওয়া এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বিষয়টি পরিষ্কার করে বলে যে, তাদের “সর্বশেষ” হামলাটি রাত ১১:২৫ মিনিটে চালানো হয়।

উভয়পক্ষই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হলেও, দুইপক্ষই পরস্পরকে সতর্ক করেছে যে কোন ধরণের সহিংসতা হলে তারা শক্তি প্রয়োগ করে তাতে সাড়া দিবে।

যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতি চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়ে, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি-কে চুক্তিটি মধ্যস্থতা করায় তার দেশের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান। বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনার তদন্তেরও আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। তিনি এমন ঘটনাকে “শোকাবহ” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বিষয়ক প্রতিনিধি, টর ওয়েনেসল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেন, “পরিস্থিতি এখনও বেশ নাজুক, এবং আমি সকল পক্ষকে যুদ্ধবিরতি পালনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”