শেষ ম্যাচে ১০ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল জিম্বাবুয়ে। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে মঙ্গলবার(২ আগস্ট) স্বাগতিকদের দেয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে, ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৪৬ রান করে বাংলাদেশ।
এর আগে, প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ১৭ রানে জিতে সিরিজের লিড নেয়। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সাত উইকেটে জয়লাভ করে সমতা আনে।
শেষ ম্যাচে,বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন আফিফ হোসেন। কিন্তু এটি পরাজয় এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। এই ম্যাচে এনামুল হক বিজয় আবারও ব্যর্থ হয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার খেলার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নুরুল হাসান সোহানের ইনজুরিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ স্কোয়াডের ফিরলেও ভালো খেলতে ব্যর্থ হন।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ভিক্টর নিয়াউচি তিনটি ও ব্র্যাড ইভান্স দুটি উইকেট নেন। এর আগে, রায়ান বার্ল-এর ২৮ বলে ৫৪ রানে, জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৫৬ রান করে। ফিফটি করার পথে বার্ল, নাসুম আহমেদের এক ওভারে পাঁচ ছক্কায় ৩৪ রান করেন।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মতোই, টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। এক পর্যায়ে তারা ১৩ ওভারে ৬৭ রানে ছয় উইকেট হারায়। শেষের পাঁচ ওভারে বার্লের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে তারা ৭৯ রান করে। বার্লের পাশাপাশি লুক জংওয়েও ব্যাট হাতে ভালো করেন। তিনি ২০ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৫ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে মাহেদী হাসান ও হাসান মাহমুদ ২৮ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নেন। নাসুম আহমেদ দুই ওভারে ৪০ রান দেন।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনা হয়। মুনিম শাহরিয়ারের পরিবর্তে এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনের। নুরুল হাসান সোহান ও শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে একাদশে ফিরেছেন নাসুম আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এই ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিনি নুরুল হাসানের পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন। নুরুল আঙুলে চোট পেয়ে সফর থেকে ছিটকে গেছেন।
দুই দল আগামী ৫ আগস্ট থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ ওয়ানডে দল ইতোমধ্যেই হারারে পৌঁছেছে।