দক্ষিণ আফ্রিকায় আট নারীকে নির্লজ্জ গণধর্ষণের পর, সোমবার দেশটির একটি আদালত গ্রেফতারকৃত ৮০ জনেরও বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেছে। ঐ নারীরা গত সপ্তাহে একটি মিউজিক ভিডিও চিত্রায়ন করার সময় কিছু মুখোশধারী, সশস্ত্র লোকদের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
নারী অধিকার কর্মীরা দক্ষিণ আফ্রিকায় লিঙ্গ সহিংসতার উচ্চ হারের বিরুদ্ধে ক্রুগারসডর্প ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বাইরে প্রতিবাদ করে। কারণ ঘটনার পর আটক কয়েক ডজন পুরুষকে ওই আদালতে হাজির করা হয়।
তবে এখনও পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়নি এবং ঘটনার বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
পুলিশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিরান্ডজু থেম্বা ভিওএ-কে জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার জোহানেসবার্গের বাইরে ক্রুগারসডর্পের মাইনিং এলাকায় একটি মিউজিক ভিডিও’র শুটিং করার সময় আট নারীকে ধর্ষণ ও তাদের কাছে থাকা জিনিসপত্র ছিনতাই করে নেয় ধর্ষণকারীরা।
বালাক্লাভাস পরা সশস্ত্র পুরুষরা তাদের কাছে আসে এবং শূন্যে গুলি ছুঁড়ে একাধিকবার তাদের ধর্ষণ করে।
থেম্বা বলেন, "রবিবার পুলিশ মন্ত্রী ভেকি সেলি গণধর্ষণের শিকার আটজনের মধ্যে ছয়জনের সাথে দেখা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনা পুরো দেশকে হতবাক করেছে।"
ধর্ষণের শিকার সবচেয়ে কম বয়সী মেয়েটির বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। বৈঠকের পরে সেলি বলেন, "তারা মানসিকভাবে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত। তারা ভালো নেই, মানসিক বা অন্যভাবে।"
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই অবৈধ খনি শ্রমিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে এর আগে প্রতিবেশী দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে প্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই সন্দেহভাজন ধর্ষণকারী নিহত হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাহী পরিচালক শেনিলা মোহাম্মদ বলেছেন, গণধর্ষণের ওই ঘটনায় অধিকার গোষ্ঠীটি যার পর নাই "ক্ষুব্ধ"।
উল্লেখ্য, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেশটিতে ৩৬,০০০-এর বেশি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।