যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান শুক্রবার একটি উচ্চ-পর্যায়ের নতুন অর্থনৈতিক সংলাপ শুরু করেছে। এ সংলাপের লক্ষ্য হচ্ছে চীনকে পেছনে ঠেলে দেয়া, এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সৃষ্ট বাধাগুলোকে মোকাবেলা করা।
জাপানের বাণিজ্য মন্ত্রী কোইচি হাগিউদা বলেছেন, দীর্ঘদিনের দুই মিত্র ওয়াশিংটনে এই অর্থনৈতিক "টু-প্লাস-টু" মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক করে। এতে পরবর্তী প্রজন্মের সেমিকন্ডাক্টর উদ্ভাবনে একটি নতুন যৌথ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনে সম্মত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রায়মন্ডো, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি এবং হাগিউদা এই বৈঠকে জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা করেন।
ব্লিংকেন উদ্বোধনী অধিবেশনে বলেন, "বিশ্বের প্রথম এবং তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা রীতি-ভিত্তিক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য একসাথে কাজ করছি; যেখানে সকল দেশের অংশগ্রহণ, প্রতিযোগিতা এবং সমৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।"
হাগিউদা বলেন, “পরবর্তী প্রজন্মের সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে গবেষণার বিষয়ে 'জাপান দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।” তিনি জানান, “গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর নিরাপদ উৎসের জন্য একটি "নতুন গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা" চালু করতে,ওয়াশিংটন ও টোকিও সম্মত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই গবেষণা কেন্দ্র অন্যান্য 'সমমনা' দেশগুলোর জন্য উন্মুক্ত থাকবে।”
দেশ দু’টি তাৎক্ষণিকভাবে এই পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করলেও, জাপানের নিক্কেই শিমবুন পত্রিকা এর আগে জানিয়েছিল, ২ ন্যানোমিটার সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিয়ে গবেষণা করার জন্য, এ বছরের শেষ নাগাদ জাপানে কেন্দ্রটি স্থাপন করা হবে।
এখন 10 ন্যানোমিটারের সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করে তাইওয়ান। এ গুলো স্মার্ট ফোনের মতো পণ্যগুলিতে অধিক মাত্রায় ব্যবহৃত হয়। চীনের সাথে তাইওয়ানের সমস্যার আশঙ্কায়, এর স্থিতিশীল সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
হাগিউদা বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে জাপানের ইচ্ছার প্রতি ও যুক্তরাষ্ট্রের মনোভার বুঝতে সমর্থ হয়েছেন। ইউক্রেনে হামলার পর, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জাপান সাখালিন তেল-গ্যাস প্রকল্পে তাদের অংশিদারিত্ব বজায় রেখেছে।.