আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির এশিয়া সফরের সময় তাইওয়ানে যাওয়ার বিষয়টিতে চীন বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র সতর্ক করেন, পেলোসি সেখানে গেলে বেইজিং ‘কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য কাজ করবে’ এবং ‘পাল্টা পদক্ষেপ’ নেবে।
তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র জোয়ান ওউ জানান, তাইওয়ান আমেরিকার আইনপ্রণেতাদের সবসময় সফরে আসার জন্য স্বাগত জানায়, তবে এখনো সরকার পেলোসির সফর সম্পর্কে ‘সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য’ পায়নি।
আমেরিকা ও চীনের সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন সৃষ্টি করে এসেছে তাইওয়ান।
যুক্তরাষ্ট্র শুধু চীনের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক বজায় রাখলেও তাইপের সরকারের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখে এবং তাদেরকে অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা দেয়।
ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেশ কয়েকবার জানিয়েছেন, চীন কখনো দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে দখল করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ হবে সামরিক সক্ষমতার মাধ্যমে তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেওয়া।
বেইজিং সরকারের জন্য রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল একটি সময়ে এশিয়া সফরে যাচ্ছেন পেলোসি।
কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের গবেষণা ফেলো ডেভিড স্যাকস বলেন, ‘শি (চীনের প্রেসিডেন্ট) হয়তো ভয় পাচ্ছেন তাইওয়ানে পেলোসির সফর তাকে দলের অন্যান্য নেতাদের সামনে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করবেন, যিনি চীনের নেতৃত্বের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে নিজের শক্ত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না।’
চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হু শিজিন ধারণা করছেন, চীনের পিএলএ-এর জেট বিমান পেলোসিকে বহনকারী বিমানকে মধ্য আকাশে বাধা দিতে পারে।
বাইডেন গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের জানান, ‘সামরিক বাহিনী ভাবছে এ মুহূর্তে এটা (পেলোসির সফর) বুদ্ধিমানের মত কাজ নয়।’